কুষ্টিয়ার খোকসার শোমসপুর ইউনিয়নের ধুসুন্ডু গ্রামে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে থাকা সরকারী গাছ কেঁটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ভাই-ভাতিজার বিরুদ্ধে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায় বুধবার (১৮ই আগষ্ট) ভোরে শোমসপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ধুসুন্ডু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সকালেই সরেজমিনে গেলে দেখতে পায়, ধুসুন্ডু গ্রামের খালে পড়ে আছে গাছগুলো। গ্রামাবাসী সুত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে গণসমিতি নামে এক সংস্থার উদ্যোগে রাস্তার পাশে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। সেই গাছগুলো তাদের চোখের সামনেই আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠে কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই তুষার ও তার লোকজন রাতের আধারে গাছগুলো কর্তন করে নিয়ে যায় এবং নিচ্ছে দিনের পরদিন, কিন্ত তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায়না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব, কয়েকজন বয়স্ক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা জানান, তারা নিজের হাতে এই গাছগুলো রোপণ করেছিলেন সমিতির পক্ষ থেকে। কিন্ত সেই গাছগুলো এখন রাতের আঁধারে চুরি করে কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে ভাইস চেয়াম্যানের লোকজন। এগুলো দেখলে খুবই কষ্ট হয় বলে আক্ষেপ করে বলেন তারা। এ বিষয়ে শোসপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল দাউদ বলেন, সকালে আমাকে খোকসা থানার এস, আই আমাকে ফোন দিয়ে ঘটনা স্থলে আসতে বলেন, আমি ওখানে গেলে তারা আমাকে জানান, গাছগুলো তুষার ও তার লোকজন কেঁটেছে, গাছগুলো আপনার হেফাজতে আপাতত রেখে যাচ্ছি তারপর আমরা তাদের সাথে কথা বলে দেখি, এতটুকুই কথা হয়েছে এস, আইয়ের সাথে। এরপর আমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমের সাথে কথা বলে তাকে বিষয়টি জানায় এবং এটাও বলি গাছগুলোতো খালের পাশে আছে, এখন তারা যদি রাতের আঁধারে আবার নিয়ে যায় তাহলে আমি কি করবো? চেয়ারম্যান আমাকে বলেন, অসুবিধা নাই পূনরায় এমন ঘটনা ঘটবে না সেটা আমি দেখবো বলেন জানান। রাতের আঁধারে সরকারী গাছ কাঁটার বিষয়ে মুঠোফোনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও ভালো ভাবে কিছু জানিনা, আর আমি তো গ্রামে থাকিনা, আমি জেনে তারপর জানাবো বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আশিকুুর রহমান বলেন, এস, আই ঘটনা স্থলে গিয়েছিলো সেখানে উপজেলা ভাইস চেয়াস্যানের রিলেটিভ যারা, তারা দাবী করেছে জায়গাটি তাদের এই জন্য গাছগুলো কাঁটা হয়েছে। তবে আপাতত গাছগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি তিনি আমাকে জানিয়েছেন এসিল্যান্ডকে পাঠিয়ে আগে নির্ধারণ করবো জায়গাটি কাদের, যদি এলজিডির হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।