1. admin@protidinerkushtia24.com : pk24 :
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

সমাজসেবা কর্মী তরিকুলের প্রতারণার কারনে দৌলতপুর নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানায় অভিযোগ জমা

কুষ্টিয়া (প্রতিনিধি) 
  • Update Time : বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১
  • ৩৮৩ Time View
দৌলতপুরে দুর্নীতির মহোৎসব মেতেছে সমাজসেবা কর্মী তরিকুল ইসলাম
দৌলতপুর নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানায় অভিযোগ জমা
 কুষ্টিয়া (প্রতিনিধি)
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধিনে কর্মরত মোঃ তরিকুল ইসলাম, পদে একজন ফিল্ড সুপার ভাইজার। মাত্রা ছাড়িয়েছে তার ঘুষ বাণিজ্য, কোন কিছুতেই  লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না তার, সে যেন মেতে উঠেছে দূর্নীতির এক মহা উৎসবে।
অসহয় গরীব দুঃখী মানুষের জন্য বাংলাদেশ সরকারের চলমান একটি অনুদান পক্রিয়া।   সামাজ সেবা অধিদফতরের মধ্যমে বিভিন্ন সময় আসা প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা।এই ভাতা পেতে হলে মাঠ কর্মী তরিকুল ইসলাম কে দিতে হয় নিদ্রিষ্ট পরিমান টাকা, তা না হলে মেলে না সেই ভাতা কার্ড।
এলাকা ঘুরে মেলে তার সত্যতা, জানাযায় বিগত দিনে এই মাঠ কর্মী তরিকুল ইসলাম ১৪নং  আড়িয়া ইউনিয়নে দৌলতপুর সামাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাঠ কর্মী হিসেবে দায়িক্ত পালন করেছিলেন।
ঐ ইউনিয়নের বেশকিছু অসহায় মানুষের ভাতা কার্ড করে দিবে বলে ৫ থেকে ৭ হাজার করে টাকা নেয় তরিকুল ইসলাম।
পরে দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস শেষে বছর চলে গেলেও ভুক্তভোগীদের জন্য  মেলেনি ভাতা কার্ড।
তেমনি একজন আড়িয়া ইউনিয়নের চকঘোগা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামে স্ত্রী শিরিনা খাতুন। শিরিনা খাতুন মূলত একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও চোখে কম দেখে, এমন অবস্থায় দারস্ত হয় একটি ভাতা কার্ডের জন্য তরিকুল ইসলামের কাছে, তরিকুল কার্ড করে দেবে বলে ভুক্তভোগী শিরিনার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয় কিন্তু বছর পার হলে মেলেনি সেই ভাতা কার্ড। প্রতিবেদক শিরিনা ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারে প্রায় বছর খানেক আগে কার্ড করে দিবে বলে তরিকুল ৫ হাজার টাকা নেয় তাদের কাছ থেকে।  কিন্তু আজ পর্যন্ত হয়নি সেই কার্ড
প্রতিবন্ধী সাহেদা খাতুন ও ১৪ নং আড়িয়া ইউনিয়নের চকঘোগা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। তার কাছ থেকেও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেবে বলে তরিকুল হাতিয়ে নেয় ৫ হাজার টাকা সর্বশেষ মন বোঝানোর জন্য তার হাতে ধরিয়ে দেয় নাগরিক সনদের একটি স্মার্ট কার্ড। যেটা দেখিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলে তরিকুল।
একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য বছর ধরে প্রায় দিনই দৌলতপুর সমাজ সেবা অফিসের সামনে ধর্না দিয়েছিলো ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী সাহেদা খাতুন।
প্রতিবেদকের সাথে সাহেদা খাতুনের কথা হলে, সাহেদা খাতুন জানান তরিকুলের হাতে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি  প্রতিবন্ধী কার্ড কারার জন্য কিন্তু  কার্ড পাওয়া তো দুরের কথা পুরো বছর ধরে বাড়ি থেকে দৌলতপুর যাওয়া আসা খরচ দিগুণ হয়ে গেছে কিন্তু আজো দেখা মেলেনি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ডের।
ঐ একই ইউনিয়নে বসবাসরত ফুলচাঁন সর্দ্দারের ছেলে মোঃ আসাদুল সড়ক দুর্ঘটনা জনিত কারনে পঙ্গুত্ব বরণ করলে যোগাযোগ করে তরিকুলের সাথে, কার্ড করে দেবে বলে তার কাছ থেকে ০১ হাজার টাকা নেয় তরিকুল এবং তার সাথে শর্ত জুড়ে দেয় যে প্রথম বার কার্ড থেকে যে টাকা উত্তলিত হবে তার পুরোটাই নিয়ে নেবে তরিকুল এমন শর্তে রিতিমতো হতবাক হয়ে যায় আসাদুল।
আসাদুল সে শর্তে রাজি না হওয়ায় আজো পর্যন্ত হয় নি ভাতা কার্ড, ফেরত পাইনি সেই ০১ হাজার টাকা।
অনুসন্ধানে এমন একাধিক ব্যাক্তির সন্ধান পেয়েছে এই প্রতিবেদক যাদের কাছ থেকে কার্ড করে দেবে বলে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সমাজসেবার মাঠ কর্মী তরিকুল ইসলাম।
তরিকুলের এমন প্রতারণার কারনে ভুক্তভোগী শিরিনার স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম ও প্রতিবন্ধী খাতুন বাদি হয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর, দৌলতপুর সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবর ও দৌলতপুর থানা অফিসার ইন্চার্জ বরাবর ১৮/০৮/২০২০ তরিখে পৃথক দু’টি অভিযোগ জমা দেয়।
প্রতিবেদক মাঠকর্মী তরিকুলের সাথ দেখা করে এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোন কথা না বলে প্রতিবেদকের বাড়ি কোথায় এমন প্রশ্ন করে। এবং কোন কথা না বলে চলে যায়।
এ বিষয়ে ১৪ নং আড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাঈদ আনসারী বিপ্লবের সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন ভাতা কার্ড পক্রিয়া যাচাই বাছাই করে প্রকৃত অসহায়দের মধ্য বণ্টন কারার দায়িক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেম্বারদের থাকে এবং সেগুলো সঠিক ভাবে তদন্ত কারার দায়িক্ত একজন মাঠ কর্মীর, কিন্তু সে নিজেই কি ভাবে ভাতা কার্ড করে দিবে বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয় আমার বোঝে আসেনা।
পরে প্রতিবেদক বিষয়টি নিয়ে দৌলতপুর উপজেলা সামাজ সেবায় দায়িক্ত রত অফিসার আতাউর রহমানের সাথে কথা বললে, তিনি জানান,এ ধরনের  কার্যক্রম যদি সে করে থাকে, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষ আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবো
এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান এধরনের ভাতা কার্ড করতে কোন প্রকার টাকা পয়সা লাগে না। যদি সমাজসেবায় কর্মরত কোন কর্মচারী কার্ড করে দিবে বলে কারো সাথে আর্থিক লেনদেন করে তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আজ এবিষয়ে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 protidinerkushtia24.com
Protidiner Kushtia