আওয়ামী রাজনীতির চরম দুঃসময়ে প্রতিপক্ষের নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের শিকার দলীয় নেতা-কর্মীদের আশ্রয় কুষ্টিয়ারদৌলতপুর বোয়ালিয়া ইউনয়ন পরিষদের জনবান্ধব চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহি বিশ্বাস
৭৫ এর ১৫ ই আগষ্টে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হবার পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ও সাম্প্রদায়ীক গোষ্ঠীর মদদপুষ্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে দীর্ঘ সময়ে আওয়ামী রাজনীতিকে পাড়ি দিতে হয় কঠিন দুঃসময়। ঐসময়ে যারা দলকে সুসংগঠিত করতে ভুমিকা রাখতেন তাদের উপর নেমে আসতো শাসকদলের নিষ্ঠুর খড়গ। প্রতিপক্ষের নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের শিকার ও এলাকা ছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীরা তখন সাহায্য ও আশ্রয় পেতেন যার কাছে তিনি একজন সেবক। মুজিব উত্তরকালে ঘোর সংকটে নিরবে-নিভৃতে নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের ভরসার বাতিঘর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই বর্ষিয়ান সেবকের নাম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর বোয়ালিয়া ইউনয়ন পরিষদের জনবান্ধব চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহি বিশ্বাস। বিপদগ্রস্ত দলীয় নেতা-কর্মী শুধু নয় আপামর মানুষেরই ভরসাস্থল হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হন মহি বিশ্বাস।মহি বিশ্বাস ছাত্রাবস্থায়ই রাজনীতি সচেতন ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মাঠ পর্যায়ের একজন ধারক-বাহক তিনি। তার এই অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ জননেতা মাহবুব উল আলম হনিফ এম.পি তাকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেন। এলাকার গণমানুষের প্রদত্ত বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে প্রথমবারের মত স্বীকৃত পদের দায়িত্ব লাভ করে তিনি তার এলাকাবাসীর হৃদয়ে বর্তমানে আশার বাতিঘর হিসেবে স্থান লাভ করেছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি অসংখ্য রাস্তা-ঘাট, মসজিদ, গোরস্থান, কার্লভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার করিয়েছেন। তার প্রচেষ্টায় এলাকা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে।ইউনিয়নের আওতাভুক্ত ৫টি স্কুলে বিল্ডিং নির্মাণ, হাই স্কুল ও কলেজে ৬ তলা ভবন নির্মাণ তারই সুদুরপ্রসারী ও আন্তরিক সেবামূলক দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ। রাজনৈতিক জীবনে তিনি মিরপুরের কামারুল আরেফিন ও ভেড়ামারার এডভোকেট সাইফুল ইসলাম রানার সাথে রাজনীতির মাঠে অবদান রাথার ঘটনাসমূহের স্মৃতিচারণ করেন। আর্ত মানবতার সেবায় সদা নিবেদিত বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সুদক্ষ এই চেয়ারম্যানের মুখোমুখি হলে বোয়ালিয়া টু গোয়ালগ্রাম মাঠকে তিনি তার ইউনিয়নের জন্য দুঃখের কারন বলে অভিহিত করেন। এই মাঠ দিয়ে বর্ষা ও প্লাবনের পানি নামে। ফলে ব্যাপক ফসলহানীর সম্মুখীন হয় এলাকার শত শত দরিদ্র কৃষক। পানি নিষ্কাষণের জন্যে নর্দমা ও ইউ ড্রেন স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি। তিনি এই ইউ ড্রেনটি নির্মাণ করে দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।এছাড়া মিরপুর টু শিহালা ভায়া বড়গাংদিয়া রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরী বলে তিনি সংবাদ কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জনসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য মহিউদ্দিন বিশ্বাস মহি ২০১৮ সালে মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদকে ভুষিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এছাড়া তার ইতিবাচক কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদক ও সম্মাননা জমা হয়েছে তার প্রাপ্তির ঝুড়িতে। তিনি দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য বিরামহীনভাবে কাজ করে চলেছেন। এর মধ্যেও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী বসে নেই হাত গুটিয়ে। তারা ভেতরে বাইরে নানা রকম ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে ব্যাস্ত রয়েছে। তিনি তার কাজ দিয়েই সব সমালোচনা ও ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে বদ্ধ পরিকর। ব্যক্তিগতভাবে মহি বিশ্বাস মানবীয় বিশেষ গুণ ও অসীম সাহসের অধিকারী। অমায়িক ব্যবহার ও সততার কারনে তিনি তার পরিচিত গন্ডীতে বেশ সমাদৃত। জীবনের শেষ দিন পর্য ন্ত গণমানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যেই কাজ করে যেতে চান এই মহৎপ্রাণ চেয়ারম্যান। বোয়ালিয়া এলাকার জনগণ তাকে জনতার একজন স্বার্থক অভিভাবক হিসেবেই মনে করেন। জানবাজী রেখে রাজনীতিতে ভুমিকা রাখায় অপশক্তি ও বিরোধী মহল বিশেষ কর্তৃক তাকে থামানোর চেষ্টা কৌশল কম হয়নি। ৪টি অস্ত্র মামলা সহ ১৫/২০টা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়ানো হয় তাকে। কোন অপচেষ্টাই তাকে রুখতে পারেনি। জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত এভাবেই তিনি মাটি ও মানুষের সেবায় সদা নিবেদিত রাখতে চান নিজেকে। কারন, এলাকার উন্নয়নই প্রকৃতপক্ষে নিজের উন্নয়ন বলে বিশ্বাস করেন মহি বিশ্বাস।