দৌলতপুরের বিলগাথুয়া গ্রামের আবু বক্কর এর স্ত্রী মধুবালা (৩০) এর মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক গোপন কথা। কি ভাবে বোমা বিস্ফারণ হলো বা কোথা থেকে আসলো এই বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম। আবু বক্কর এর স্ত্রী মধুবালা গতকাল বৃহস্পতিবার বাণীবদ্ধ জবানবন্দিতে জানান বিস্তারিত।
বোমা বিস্ফোরণের ঠিক আগেরদিন সন্ধ্যার সময় বিলগাথুয়া গ্রামের ইসমাইল মেম্বার সহ মামুন, খনি,হেলাল, ও রানা মাষ্টার এই পাঁচ জন লোক বক্করের বাড়িতে আসে এবং একটি ব্যাগ দিয়ে যায় আবু বক্করের হাতে, আর সেই ব্যাগেই ছিলো বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম।
ঐ পাঁচ জন লোকের মুল উদ্দেশ্য ছিলো এলাকার কিছু লোককে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম দিয়ে ফাঁসানোর। এবং তার জন্য আবু বক্করকে দেওয়ার কথা ছিলো মোটা অংকের টাকা।কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি।
আবু বক্কর এর স্ত্রী মধুবালা আরো জানান, বিধির কি নির্মম পরিহাস পরের দিন ওই ব্যাগ খোলার সাথে সাথে বোমা বিস্ফারণ হয় এবং ঘটনাস্থলেই আমার স্বামী আবু বক্কর এর দেহ পুড়ে যায় এবং মর্মান্তিক ভাবে আহত হয়।
আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪/০৮/২১তারিখে আমার স্বামী আবু বক্কর মারা যায় কিন্তু যারা বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম দিয়ে গেল তারা তো দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদের আশেপাশে।
এখন আমার চাওয়া আমার স্বামীর হাতে যারা এই বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম দিল তাদেরকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে সাজা প্রদান করা হোক যেন এমন নোংরা খেলা আর কেউ করতে না পারে।
উল্লেখ্য থাকে যে, গতো ১৯ আগষ্ট দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন বিলগাথুয়া গ্রামে বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে এসময় আবু বক্কর (৩৫) গুরুতরভাবে আহত হয় । সেসময় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবু বক্করকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আবু বক্কর মারা যায়।
এদিকে আবু বক্করের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিক।তারা জানান, বোমা বিষ্ফোরণে আহত আবু বক্কর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।