কুষ্টিয়ায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ফাষ্টফুড ও মিনি চাইনিজ। এসব ফাষ্টফুডের দোকানগুলোতে এবং মিনি চাইনিজের নামে আমরা কি খাচ্ছি? এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্বনামধন্য খাবারের দোকানের সাথে মিলিয়ে রেখে হাজী ও নান্না বিরিয়ানীর খাবারের দোকানের নাম ব্যবহার করে কুষ্টিয়া শহরে চলছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট।
নোংরা স্যাঁতসেতে পরিবেশ, পঁচা বাসী খাবার দিলেও ক্রেতারা অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলতে পারে না।এসব রেস্টুরেন্টের হেঁসেল কিভাবে চলছে তা দেখার জন্য কোন অনুমতি নেই। যেগুলোতে পরিবেশন করা হচ্ছে নিম্নমানের পচা-বাসি খাবার। না জেনে-বুঝে শহরের অসংখ্য মানুষ তা খাচ্ছেন প্রতিদিন।
দোকান সংশ্লিষ্টদের কথায় অনেকটা স্পষ্ট, এগুলোর সাথে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানের কোন সংযোগ নেই।রাজধানীর নামীদামী হাজীর বিরিয়ানি ও নান্না বিরিয়ানির নামের সাথে মিল রেখে এসন দোকান পরিচালনা করে থাকে।খাবারের মান একেবারেই নেই বললেই চলে।
নামসর্বস্ব নান্নার রান্না দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। অন্যগুলোর অবস্থাও একই। পচা-বাসি কোন খাবারই ফেলে দেয়া হয় না এখানে। আর যে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা হয় খাবার, তা হঠাৎ দেখায় মনে হতে পারে আবর্জনার ভাগাড়।
হাজীর বিরিয়ানির সাইনবোর্ড লাগিয়ে মানহীন পচা সয়াবিন এবং ডালডা দিয়ে বানানো বিরিয়ানি বিক্রি করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্নস্থানে এসব অবৈধ বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। টেস্টি সল্টসহ স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকারক বেশ কিছু মসল্লা ব্যবহার করে এসব দোকানগুলোতে বিরিয়ানি তৈরি করা হচ্ছে। নিম্নমানের মাংস, তেল চর্বি, আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা হয় এসব বিরিয়ানি। একদিনের বিরিয়ানি দুই-তিনদিনও বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। টেস্টি সল্ট ব্যবহারের কারণে তা নষ্ট হয় না। হাজীর বিরিয়ানির নামে লাইটিং সাইনবোর্ড আর মনোরম ডেকোরেশন করে ভোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিুমানের বিরিয়ানি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বিরিয়ানির দোকানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অন্তহীন অভিযোগ থাকলেও এসবের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার নেই প্রশাসনের। বিশেষ করে ভোক্তা অধিকার আইনে এ পর্যন্ত এসব হাজীর বিরিয়ানির দোকানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
শুধু এই হাজী কিংবা নান্না বিরিয়ানীই নয়, শহরের ওলিতে গলিতে নামসর্বস্ব এমন অনেক রেস্তরা গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে শহরের চাররাস্তা থেকে ৬ রোস্তা মোড়ের দিকে বেশকিছু মিনি চাইনিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
মাঝে মাঝে বড় বড় হোটেল রেস্তরায় অভিযান চালালেও এসব প্রতিষ্ঠানে কোন অভিযান পরিচালনা হয় না বললেই চলে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এমন খাবার শরীরের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ।এসব দেখার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানায়, আমরা বিভিন্ন সময় রেস্টুরেন্ট ও ফাষ্টফুডের দোকানগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।