ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন দৌলতপুরে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহীর : ট্রাক নিয়ে গেল মালিকপক্ষ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকায় তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন ফারুক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছিলো গত রোববার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসে দৌলতপুর থানা হেফাজতে
কিন্তু সোমবার দুপুরের দিকে মৃত দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দৌলতপুর থানা থেকে নিয়ে যায় নিহতের স্বজনেরা,
বিশেষ সূত্রে জানাযায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দফারফা করানো হয় নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে ড্রামট্রাক মালিক পক্ষের।
আর তাতে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন দৌলতপুর উপজেলার শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকায় তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন ফারুক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ভেড়ামারাগামী দ্রুতগতির একটি ড্রাম ট্রাক একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।
কিন্তু টাকার কাছে আজকে সেটা উল্টো হয়ে গেছে নিহতের পরিবারের লোকজনকে চাপ প্রয়োগ করে মামলা না করার জন্য দৌলতপুর থানায় লিখিত দরখাস্ত প্রদান করায় যে দূর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিলো নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহীরাই।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছিলো কিন্তু লাশের পরিবারের লোকজন মামলা করবেনা বলে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান এ ধরনের দুর্ঘটনায় পরিবার যদি চাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার নিকট আত্বীয়ের লাশটি নিয়ে যাবে তো সে ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বা আমরা তাদের কাছে খুব অসহায়, তবে সড়কের যদি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হয় তবে এধরনের মামলাগুলো হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
ওদিকে স্থানীয়রা ঐ রাতেই ট্রাকটি আটক করে আগুন ধরিয়ে দেয় পরে সেই আগুন ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস এসে নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু দৌলতপুর থানা পুলিশ ট্রাকটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন বোধটুকুও মনে করেনি।
এতেই অনেকটা অনুমেয় হয় যে কোথাকার জল কোথায় যাবে। পরে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘাতক ট্রাক টিকে কোন প্রকার মামলা ছাড়াই মালিকপক্ষ নিয়ে চলে যায়।
ময়নাতদন্ত না হওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার জন্য দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাসের কে বেশ কয়েকবার তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ না করে কেটে দেন, পরে তার ফোনে মেসেজ করা হলেও তার কোন প্রতিউত্তর বা জবাব আসেনি।