গাছের নিচে শুয়ে পায়ের ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। বাম পায়ের পাতায় পচন ধরেছে। সেখানে মাছি বসছে। শরীরে জ্বরও আছে।
গাছের পাশের সড়ক দিয়ে শত শত মানুষ চলাচল করছেন। কিন্তু কেউ ভারসাম্যহীন যুবকটির দিকে তাকিয়েও দেখছেন না। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি খেয়াল করেন এক পুলিশ সদস্য।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই যুবককে চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যান। তার পা পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। পরে ওই পুলিশ সদস্য কিছু খাবার কিনে দেন। এ সময় আশপাশের লোকদের বলেন তাকে দেখে রাখতে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেল ৩টায় পাবনার ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির মাঠের সামনের সড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ওই পুলিশ সদস্যের নাম দেলোয়ার হোসেন। তিনি শহরের আমবাগান পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত।
জানা যায়, গাছের নিচে শুয়ে ভারসাম্যহীন যুবকটি ব্যথায় যেভাবে কাতরাচ্ছিলেন তা দেখে পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের খুবই মায়া লাগে। তখনই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন দেলোয়ার।
চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকটির পায়ের পাতা কাঁচ অথবা শামুকে কেটেছে। খালি পায়ে হাঁটার কারণে ময়লা ঢুকে পচন ধরেছে। পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেন আমাকে ডেকে নিয়ে চিকিৎসা দিতে বলেন। পরে পা পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি। ওষুধও দেওয়া হয়েছে।’
মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তির সেবায় এভাবে এগিয়ে আসায় সবাই ওই পুলিশ সদস্যের প্রশংসা করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। তবে কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন তা ভুল প্রমাণ করেছেন।