রাজশাহীর বাঘায় পুলিশের অভিযানে একটি ভেজাল গুড়ের কারখানা থেকে (৫০ চাকি) ৭৫০ কেজি তৈরিকৃত গুড় জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ৮টার সময় উপজেলার আড়ানী পৌরসভার পিয়াদা পাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন এর দিকনির্দেশনায়,আব্দুল করিম (ওসি তদন্ত)এর নেতৃত্বে এসআই কামরুজ্জামান সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আড়ানী পৌর সভার পিয়াদা পাড়া গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে শামসুল হক (৪৭) এর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানা মালিক শামসুল হক পালিয়ে যায়। তবে কারখানা থেকে ৭৫০ কেজি তৈরি গুড় (৫০ চাকি) ও ১ বস্তা ছাগলের খাদ্য জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, পুলিশ অভিযানের সময় তৈরিকৃত গুড়ের চাকি ছাড়া অন্য কোন ভেজাল কিছুই পাইনি।তবে সরেজমিনে মজুদকৃত আখের গুড়ের ৩০টি খালি টিন শামসুল হকের বাড়িতে দেখতে পাওয়া যায়।
কারখানা মালিক শামসুল হক মুঠোফোনে জানান, আমার কারখানায় তৈরি গুড় চিনির নয়,টিনে রাখা মজুদ করা আখের গুড় থেকে তৈরি করা। আর ক্যারেটের মধ্যে থাকা বস্তায় চাউল ভাঙ্গা (খুদ) ও সাবু মিশ্রিত করে রাখা ছিল। গত ৬ মাস আগে আমি ১২ টি ছাগলের বাচ্চা কিনেছিলাম। দুধের বিকল্প হিসাবে খুদ ও সাবু তরল করে ও-ই ছাগলের বাচ্চা কে খাওয়ানো হতো। ছাগল বিক্রির পরে তা আর প্রয়োজনে লাগেনি তাই সেখানে ছিল।এ সকল জিনিস গুড় তৈরিতে কোন কাজে লাগে না।
এ ব্যাপারে আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলী বলেন, দেশে এতো কিছু ভেজাল থাকতে প্রশাসন গুড় নিয়ে পড়ে আছে, শুধু কি গুড়েই ভেজাল! আমি মেয়র, আমিও চাইবোনা কেউ অসৎ উপায়ে ব্যাবসা করুক। বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারাও পূর্বে আমাকে বলেছে শুধু চিনি দিয়ে গুড় তৈরির বৈধতা আছে। তবে তাতে কোন খারাপ কিছু মিশ্রন করা যাবে না। যেমন,চিটাগুড়,আটা,রং সহ অন্যান্য কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য। মেয়র আরও বলেন,শামসুলের কারখানায় আখের গুড় থেকে গুড় তৈরি করেছে তাও পুলিশ জব্দ করেছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) জানান,ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশ বন্ধু চিনির খালি বস্তা,হাইড্রোজ,ফিটকারী, চুন ও ৭৫০ কেজি তৈরিকৃত ভেজাল গুড় পাওয়া যায়। কারখানা মালিক শামসুল হক পলাতক রয়েছে।