কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি এলাকায় গত সোমবার সন্ধার পরে ঐ এলাকার নাশকতা মামলার আসামিদের অতর্কিত হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বেশকিছু নেতা কর্মী সহ উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমান ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান জুলমত হোসেনের ছোট ভাই সহ মর্মান্তিক ভাবে ৬ জন আহত হয়েছে।

জানাযায় কয়েক দিন আগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন হয়। এবং সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজুর ছেলে অর্নব কমিটিতে একটি পদ পায় এতে করেই খলিশাকুন্ডি এলাকায় বিভিন্ন মহলে নানা প্রকার রটনা করতে থাকে নাশকতা মামলার বেশ কিছু আসামি সহ কয়েক জন ব্যাক্তি।

এমন সব কথায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কিছু নেতা কর্মীরা প্রতিবাদ করলে বাধে বিপত্তি, তারি সূত্র ধরে খলিশাকুন্ডি কাচাঁ বাজারের ভিতরে চেয়ারম্যান জুলমত হোসেন আড়ৎ এ অনাধিকার প্রবেশ করে নাশকতা মামলার আসামি আমিরুল,জালাল,রিংকু, মাহাবুল,শামিম,সহ বিএনপির ক্যাডার ইকরামুল, মনিরুল সহ পরিচিত ২৬জন ব্যাক্তি, এবং তাদের সাথে নাম না জানা আরো ৩০/৪০ জন লোক এক সাথে এসে এ হামলা চালায়।

এ হামলায় গুরুতর ভাবে আহত হয় মুঞ্জর আহমেদ, এজাহারুল ইসলাম, মোশারেফ হোসেন সহ বেশ কয়েকজন।

ঘটনার পর পরেই দৌলতপুর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ সেখানে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও অহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দৌলতপুর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মুঞ্জর আহমেদ কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে খলিশাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলমত হোসেনের সাথে কথা বলে জানাযায়, গত কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন হয়। এমন অবস্থায় এলাকার জামাত বিএনপির একটি চক্র সহ বেশ কয়েকজন নাশকতা মামলার আসামি বিভিন্ন মহলে সেই কমিটি নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে ছিলো।

এসকল বাজে মন্তব্যর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা অবস্থান নিলে খলিশাকুন্ডি এলাকার এনামুল, জগলুর রহমান, ও একরামুলের নেতৃত্বে তারা আমার নেতা কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মর্মান্তিক ভাবে আহত করেছে।

এবিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাবীদ হাসান জানান প্রাথমিক ভাবে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এবং এব্যাপারে নাজমুল হক নামে একজন আজ দুপুরে একটি লিখত একজাহার থানায় জমা দিলে তা নথি ভুক্ত পূর্বক ২৬ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা নং -১৪।