কুষ্টিয়া-পাবনার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ম-নীতির তুয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে তোলা হচ্ছে শত শত ডাম ট্রাক বালু ও মাটি। জমি থেকে মাটি কেটে নিতে বাধা দিলে কৃষকদের উপর নেমে আসছে নির্মম নির্যাতন।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে, জোড় পূর্বক সাধারণ কৃষকদের কাছ থেকে নাম মাত্র মূল্যে জমি নিয়ে দুটি ভেকু দিয়ে প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে মাটি ও বালু। সেই মাটি সরববাহ করা হচ্ছে অবৈধ ইট ভাটায়। দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি প্রভাবসালী মহল দীর্ঘদিন যাবদ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ব্যহত হচ্ছে চর-এলাকার কৃষি উৎপাদন। ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে কৃষক পাশাপাশি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে নদী পাশবর্তী এলাকা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, প্রভাবশালী ইট ভাটার মালিক সিরাজুলের নেতৃত্বে পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চর থেকে অবৈধ দুটি ভেকু দিয়ে দিনে ও রাতে ফসলি জমির মাটি ও বালু কেটে নিচ্ছেন তার ইট ভাটায়। তার সাথে আরো কিছু প্রভাবশালী জড়িত আছে। কেও কিছু বললে তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন হামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি।
এর ফলে চর সংলগ্ন ব্যাক্তি মালিকানাধীন দুই ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে রাস্তা ঘাট, এবং সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। প্রশাসন অভিযান চালালেই বালু উত্তোলনকারীরা গাঁ ঢাকা দেয়। কিছু দিন পার হলেই আবার প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলে মাটি ও বালু উত্তোলন।
এ বিষয়ে ইট ভাটা মালিক সিরাজুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিলাইদহ চর এলাকার আমার ইটভাটার জন্য জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে আমি মাটি কাটছি।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম জানান, মাটি ও বালু উত্তোলন করাীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত আছে বিভিন্ন সময় আটক করে মামলা দেয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি এই বালু ও মাটি খেঁকোদের আইনের আওতায় আনা না হলে চরের হাজার বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, রাস্তা ঘাট নষ্ট, কৃষি জমি সংকট সহ দেশে তৈরি হবে খাদ্য সংকটও।