মেহেরপুর শহরের ঔষধ দোকানির খপ্পরে পরে গত ৩ মাস ধরে মৃত সন্তান পেটে নিয়ে ঘুরছে সালমা খাহতুন নামে এক নারী। অবশেষে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নার্স সাবিনা ইয়াসমিনের রোষানলে পড়ে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালেরে বেডে কাৎরাচ্ছে। সালমা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের হাসিবুলের স্ত্রী।
সালমা খাতুনের ভাই রাসেদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ মাসে আগে মেহেরপুর সনোল্যাবে আলট্রাসোনা করলে ডাক্তার জে পি আগরওয়ালা বলে গর্ভের সন্তান মারা গেছে। ডি এন সি সি করে বাচ্চা পেটে থেকে বের করে ফেলতে হবে বলে প্রাথমিক ঔষধ লিখে দেয় । তখন মেহেরপুর কাথুলি বাস স্টান্ডের কাছে ঔষধ কিনতে যায়। এসময় ঔষধের দোকানদার মহিবুল বলে ডাক্তারের রিপোর্ট ভুল আপনার সন্তান জিবিত আছে। আমার ঔষধ খেলে পেটের সন্তান জিবীত থাকবে। এরপর থেকে সালমা খাতুনের পেটে যখন ব্যাথা ওঠে তখন দোকানদার মহিবুল তাকে ঔষধ দেয় । এভাবে ৩ মাস ধরে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ঔষধ খায় সালমা খাতুন। রবিবার বিকেলে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে সালমাকে আনা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেয় । কিন্তু মহিলা ওয়াডের্র কত্যর্বরত নার্স সাবিনা ইয়াসমিন ভর্তি নিতে অস্বিকৃতি জানান। এসময় সালমা খাতুনের মাকে হাস পাতাল গেটে কাঁদতে দেখে স্থানীয় কয়েক জন যুবক বিষয়টা শুনে মহিলা ওয়ার্ডে সালমাকে ভর্তির জন্য যায়। কত্যর্বরত নার্স সাবিনা ইয়াসমিন তাদের সাথেও রুঢ আচারন করে ভর্তি করা যাবেনা বলে যানান। পরে ঐ যুবকরা বিষয়টি হাসপাতালের তত্বাবধায়ক জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার কে ফোনে অভিযোগ দিলে নাস সাািবনা ইয়াস মিন তাকে ভর্তি করে নেন। কিন্তু ভর্তির পর থেকে সালমাকে কোন চিকৎসা না দিয়ে হাসপাতালের বেডে ফেলে রাখা হয়েছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাস পাতালের আর এমও বলেন কোন রুগীক ভর্তি না নেওয়া ক্ষমতা কোন নার্সের নেই। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।