কুষ্টিয়া দৌলতপুর ৪ নং মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হকের নামে উঠেছে নানান অভিযোগ , কোলদিয়াড় মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০০ ইং ( দুই হাজার ) সালে ।একরাম মাষ্টার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কখনই অফিসিয়াল ড্রেসে যায়না।বিদ্যালয়ে অফিস সময়ে যাওয়ার পর উপস্থিত খাতায় সাক্ষর করে চলেজান তার ব্যাক্তিগত কাজে।এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা তিনি উত্তোলন করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে পিকনিক করেন।উপবৃত্তির টাকা একরাম মাষ্টারের পছন্দের লিষ্ট অনুযায়ী হয়।এমনকি উপবৃত্তির পাওয়ার জন্য কেউ যোগাযোগ করলে অর্থের বিনিময়ে তিনি সেটার ব্যাবস্থা করেদেন। একরাম মাষ্টার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলমান রেখে তার ভাতিজা স্বজিবকে নিয়ে ব্যবসায়িক কাজে বের হয়েজান বিভিন্ন সময়ে।
এদিকে গত হয় ২৯/০৮/২০২২ ইং তারিখে কুষ্টিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে হাতে- নাতে ভারতীয় অবৈধ ফেন্সিডিল সহ গ্রেফতার হন কোলদিয়াড় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হকের আপন ভাতিজা , সজিব ও একরাম মাষ্টারে শালা রনি । একরাম মাষ্টারের ভাতিজা সজিব ও শালা রনির বিষয়ে সরজমিনে খোজ খবর নিয়ে জানা যায় , এলাকার লোকজনের কাছে তার ভাতিজা সজিবের বিষয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মের কথা বলতেন। সজিব এলাকায় কখনো বলতো ভারতীয় মসলার ব্যাবসা করত, কখনো বলতো কয়লার , কখনো বলতো ভারতীয় পাথর ইনপোর্ট করতো । কিন্তু মাদকসহ গ্রেফতার হবার পর জানা যায়, সজিব মুলত থাকতো, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কেড়াগাছী , যে স্থান হতে ভারতীয় অবৈধ ফেন্সিডিল আমদানীর জিরোপয়েন্ট, যশোর বেনাপোল বর্ডার , দিনাজপুর হিলি বর্ডার , চুয়াডাঙ্গা জীবনগর , দর্শনা বর্ডার, এসব অঞ্চলে ছিলো একরাম মাষ্টারের ভাতিজা সজিবের অবৈধ স্বর্ণ চালান ও রমরমা ব্যবসার । সজিব বাংলাদেশের এসব বর্ডার অন্চল হতে স্বর্ণ(সোনা) পাচার ও ভারতীয় অবৈধ নেশাজাত ফেনসিডিল আমদানী করতো ও বাংলাদেশ হতে স্বর্ণ পাচার করতো,তার এ অবৈধ ব্যবসা অর্থ ও যোগাযোগের নেপথ্যে নিয়ন্ত্রণ করতেন একরাম মাষ্টার । এভাবেই একরাম মাষ্টারের ভাতিজা সজিবের জিবনের বড় পরিবর্তন দেখাদেই। এলাকাবাসীর মন্তব্য মতে সজিব হঠাৎ করে কোটি কোটি টাকার মালিক কিভাবে হলো!সজিব-কি আলাদ্দীনের চেরাগ পেলো!!?
এদিকে একরামুল হকের ভাতিজা ভারতীয় অবৈধ ফেন্সিডিল সহ হাতেনাতে গ্রেফতারে পরে সজিবের এলাকায় আসোল রহস্য প্রকাশ পেয়েছে । সজিবের যত স্বর্ণ(সোনা) চোরাচালান ও মাদক আমদানীর সব অর্থ সজিবের চাচা কোলদিয়াড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুলের কাছে গচ্ছিত । একরামুল হক সজিবের অবৈধ মাদক ও স্বর্ণ ( সোনা) চোরাচালানের সর্ব অর্থ বিভিন্ন যায়গা হতে লেনদেন করে । সজিবের এ অবৈধ মাদক ও স্বর্ণ(সোনা) চোরা চালানের অর্থ দিয়ে একরাম মাষ্টার প্রতি বছর ৮-১০ বিঘা জমি ক্রয় করেন । একরাম মাষ্টার তাহার বেতনের একাউন্টের টাকা এ পর্যন্ত কখনোই উত্তোলন করেন নাই! একরাম মাষ্টার তার শালা রনি ও সজিবকে দিয়ে করেন মাদক ব্যাবসা ও সোনা চোরাচালান। আর এসব বিষয়ে একরাম মাষ্টারের এলাকায় খোঁজ নিলে এলাকাবাসীর মন্তব্য একরামের শালা রনিও ভাতিজা সজিবকে দিয়ে যতসব মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের ব্যাবসা পরিচালনা করতো । এদিকে আরো জানা যায় ২০২১ সালের ২৪-ই – জুন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কেঁড়াগাছী ৩৩ বিজিবির অভিযানে ৮১৩ গ্রাম সোনা সহ গ্রেফতার হন কামরুজ্জামান (কামরুল) নামের, এক ব্যাক্তি সোনা চোরাচালানকারী, আর ঐ কামরুজ্জামান, সজিবের সোনা বহনকারী ব্যাক্তি । সজিবের চাচা একরাম মাষ্টার তার ভাতিজার অর্থ আদান প্রদান কারী ।স্বর্ণ (সোনা) ও মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেটের সক্রিয় হোতা একরাম মাষ্টারের বিষয়ে
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,কোলদিয়াড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
হেডমাষ্টারের বিষয়ে এমন কথা আমরা শুনেছি ও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে একরাম মাষ্টারের মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে একরাম মাষ্টার বলেন , আমার সজিব যত অর্থ-সম্পত্তি করেছে কষ্ট ও পরিশ্রম করে করেছে । সজিব যে রাস্তাতেই করুক আপনারা সাংবাদিক এতো বাড়াবাড়ি কেনো আপনাদের এবং সমস্ত বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।