কুষ্টিয়ার কুমারখালী বাঁশগ্রাম এলাকায় মনিরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক কলেজ পিয়ন কলেজের মধ্যেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার সময় বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহম্মেদ কলেজের দ্বিতীয় তলায় একটি রুমের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার।
নিহত মনিরুল ইসলাম কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত নিয়াদ আলীর ছেলে। তিনি বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহম্মেদ কলেজের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিহত কলেজ পিয়ন মনিরুলের সাথে তার পরিবারের দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক কলহে চলে আসছিলো। সোমবার বাড়ি থেকে কলেজে আসার পর ছুটির সময় হয়ে গেলেও বাড়িতে ফেরেনি মনিরুল। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর ও সন্ধান না পেলে তার ছেলে সন্ধ্যার সময় তার বাবাকে খুজতে কলেজে গেলে কলেজ তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখেন।পরে কলেজ কতৃপক্ষের সহায়তায় কলেজের তালা খুলে প্রবেশ করে খোঁজাখোঁজির পর দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে গলায় দরিতে ঝুলা অবস্থায় তার বাবাকে দেখতে পান।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহম্মেদ কলেজের পিয়ন মনিরুল ইসলামের গলায় দড়িতে ঝুলে থাকা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তদন্তের পর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।