কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের, বোয়ালিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কাওকে কিছু না জানিয়ে টাকার বিনিময়ে নিয়মিত কমিটির(পকেট কমিটি) নাম প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলো ঐ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ।
এরি জের ধরে গত (০৫/০৯.২০২২) তারিখে দুপুর ২টার দিকে ঐ বিদ্যালয়ে স্ব শরিরে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ।
তিনি বোয়ালিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এসে সকল ছাত্রী অভিভাবকদের সাথে কথা বলে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্বন্ধে জানতে চাইলে, ছাত্রী অভিভাবকরা পূনরয় একি অভিযোগ করে বলেন, কখন কীভাবে এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন হয়েছে তারা কেউ জানেনা। ছাত্রী অভিভাবকরা আরো অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মেয়েরা ঐ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করার সুবাদে আমরা সেখানকার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটার, গত দুই মাস আগে ঢাক ঢোল পিছিয়ে এ্যাডোক কমিটির নাম প্রকাশ করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক, যেখানে সভাপতি হিসেবে প্রধান শিক্ষকের চাচাতো ভাই রেজাউল হক সেন্টু মোল্লার নাম প্রকাশ হয়।
এই কমিটির তিন মাস না গড়াতেই দুই মাসের মাথায় তড়িঘড়ি করে কাওকে কিছু না জানিয়ে এবং কোন প্রকার ভোট অনুষ্ঠিত না করেই মৌখিক ভাবে বিদ্যালয়টির নিয়মিত কমিটিতেও প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন টাকার বিনিময়ে তার চাচাতো ভাই রেজাউল হক সেন্টু মোল্লার নাম প্রকাশ করে।
তারা আরো বলেন, বিদ্যালয়টির এই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নাম ঘোষণা করার আগে ছাত্রী অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যবান্য কোন লোকজনকে জানানো হয় নি এমন কি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন কবে কিভাবে দিয়েছে তাও কেউ বলতে পারেনা, ম্যানেজিং কমিটি গঠন বা নির্বাচনের আগে অন্ততঃ এলাকায় মাইকিং করার নিয়ম প্রচলিত থাকলেও তাও করে নি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন।
টাকার বিনিময়ে এমন পকেট কমিটির ঘোষণা করার ঘটনায় বোয়ালিয়া এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড় যে একজন শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর, সেই কি না টাকার বিনিময়ে নিজের বিবেকে বিক্রি করে দিয়েছে।
এ সময় সেখানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বর্তমান অবৈধ কমিটির সভাপতি রেজাউল হক সেন্টু মোল্লাকে উপরোক্ত বিষয়গুলোর সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, সকল ছাত্রী অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন যারা উপস্থিত আছেন তারা সবাই মিথ্যা বলছে, তার দাবি কমিটি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হয়েছে সেটা কেউ জানুক আর না জানুক।
এ সময় জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন বিশ্বাস, ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী সহ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী অভিভাবকরা।
তদন্তের বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ জনান, প্রাথমিকভাবে আমরা তদন্ত করে দেখছি, সকল অভিভাবকদের সাথে কথাও বলেছি, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতেও একটি মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা আমাদের মতো ব্যবস্থা নিব এবং বাকিটা দেখবে আদালত।