ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলাধীন করিমপুর থানার প্রত্যন্ত গ্রাম শিকারপুর। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পার হলেও স্বাধীনতার ইতিহাস গাথা এই গ্রাম। স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, আশ্রয় নিয়েছিলেন সহস্রাধিক শরণার্থী এই মাঠে । বিএসএফ বনাম বিজিবির মধ্যকার মৈত্রী ফুটবল ম্যাচটি অনূষ্ঠিত হল বর্নিল ভাবে সাজানো পরিবেশের মধ্যে। ভারতী ঐতিহ্যবাহী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও তাদের খেলোয়াড়বৃন্দ।
বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কের আরও উন্নয়ন উপলক্ষে আয়োজিত এই ম্যাচটি ঘিরে গতকাল বুধবার (৭ ই সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন সাজানো। হার-জিতের তোয়াক্কা নয়, আনন্দ–উৎসবে ভরা ছিল ফুটবল ম্যাচটি। বিএসএফ ও বিজিবির সদস্যরা সারাটা দিন আনন্দ বিহ্বল পরিবেশে খেলাটি উপভোগ করেন। দুই বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ খেলায় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার বেলা ২:০০ ঘটিকার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তের ১৪৭ নং প্রধান পিলার দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় বিজিবি কর্মকর্তা, খেলোয়াড় ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর ভারতীয় বিএসএফের কর্মকর্তা ও সদস্যরা তাঁদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানিয়ে গাড়িতে করে শিকারপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যান। সেখানে বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহিউদ্দীন মোঃ জাবেদ, ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক পি এস সি, শাহ মোঃ ইসতিয়াক পি এস সি, সাহিন আজাদ বি পি এম পি পি এম পি এস সি,G+ স্টাপ অফিসার মোহাম্মদ আনারুল মাঝহার সহ বিজিবি সকল কর্মকর্তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন এস এইস অতুল ফুলজিলে আই পি এস জেনারেল ইন্সপেক্টর , দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত , এস এইস অমরেষ কুমার আরীয়া , ডি আই ইন্সপেক্টর জেনারেল , দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত, সেক্টরকমান্ডার এস এইস রাজেস কুমার মিসরা ৮৬ ব্যাটেলিয়ন।
খেলা শুরুর আগে উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয় পরে স্থানীয় যুবকরা গানের তালে মনোমুগ্ধকর নাচ পরিবেশ করেন।
সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন করিমপুর বিধান সভার সদস্য বিমলেন্দু সিংহ রয়।