কুষ্টিয়ায় এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীনতাহানীর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে খোদ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেত্রী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ নেত্রী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের সাথে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে আসছে। সম্প্রতি চ্যালেঞ্জ ওই ছাত্রলীগ নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এমনকি তাকে শ্লীনতাহানিরও চেষ্টা করে চ্যালেঞ্জ। তারপর থেকে ওই ছাত্রলীগ নেত্রী চ্যালেঞ্জের কাছ থেকে সরে আসে। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে চ্যালেঞ্জ। ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর সাথে রাস্তাঘাটে দেখা হলে ফলো করে এবং বিভিন্ন আজেবাজে কথাবার্তা বলে চ্যালেঞ্জ ও তার অনুসারী কুষ্টিয়া পিয়ারাতলা এলাকার ফারদিন সৃষ্টি, মোহাইমিনুল মিরাজ ও হৃদয়।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের নির্দিশে আখি খাতুন নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর ছবি এডিট করে গত ১০-০৮-২০২২ ইং তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয় এবং আইডি থেকে বিভিন্ন বাজে পোষ্ট করা হয়। ওই ছাত্রলীগ নেত্রী পরেরদিন ১১ আগষ্ট বিবাদীদের এ ধরনের কার্যকলাপ করতে নিষেধ করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এসময় শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলে ‘যদি আমার প্রস্তাবে রাজি না হস তাহলে তোর অসুবিধা আছে’। এমনকি ওই ছাত্রীকে প্রাণণাশেরও হুমকি দেয় চ্যালেঞ্জ।
সম্প্রতি গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অভিযোগের ৩নং বিবাদী মোহাইমিনুল মিরাজের সাথে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে দেখা হয় ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর। এসময় মিরাজ ওই ছাত্রীকে দেখে বলে ‘ছবি ভাইরালের কিছুই হয়নি, আরো হবে’।
এঘটনায় চরম আতংকের মধ্যে দিনযাপন করছে ওই ছাত্রলীগ নেত্রী। তিনি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।