কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা চত্বরে সোনালী ব্যাংকের সামনে এক বৃদ্ধর গায়ে মল ছিটিয়ে আবারো ৫৩ হাজার টাকা ছিনতাই করছে দুই ছিনতাইকারী।
জানাযায় উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের সংগ্রাম পুর গ্রামের বৃদ্ধ জালাল উদ্দীন (৭০) নামে এক ব্যাক্তি (২৭.০৯.২০২২) মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা চত্বরে সোনালী ব্যাংক থেকে নগদ ৫৩ হাজার টাকা উত্তলন করে ব্যাংকের বাহিরে আসলে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি সুকৌশলে জালাল উদ্দিনের পরিহিত পাঞ্জাবিতে মল লাগিয়ে ব্যাংকের পাশে অবস্থিত মসজিদের অজুখানার দিকে চলে যায়।
পরে ছিনতাইকারী চক্রের আরেকজন এসে জালাল উদ্দিনকে বলে আপনার পরিহিত পাঞ্জাবির সাথে মল লেগে গেছে আপনি দ্রুত মসজিদের অজুখানায় যেয়ে পাঞ্জাবিতে লেগে থাকা মল ধুয়ে ফেলুন।
অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারী চক্রের ঐ সদস্য সাথে কথা বলার পর পরই জালাল উদ্দিন স্বরল মনে চলে যাই অজুখানার দিকে পরিহিত পাঞ্জাবিতে লেগে থাকা মল ধোওয়ার উদ্দেশ্যে।
আগে থেকেই উৎপেতে থাকা মল লাগিয়ে দেওয়া ছিনতাইকারী চক্রের প্রথম সদস্য ওযুখানাতে বসে থাকে এবং ভুক্তভোগী বৃদ্ধ জালাল উদ্দিন ওযুখানায় পৌঁছানোর সাথে সাথে ছিনতাইকারী চক্রের প্রথম ঐ সদস্য জালাল উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার পরিহিত পাঞ্জাবীটা খুলে তারপরে মল ধুয়ে ফেলুন, এরইমধ্যে সুকৌশলে ছিনতাইকারী জালাল উদ্দিনের পকেটে থাকা ৫৩ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে ঐ স্থান দ্রুত ত্যাগ করে।
পরে জালাল উদ্দিন হাতমুখ ধুয়ে ও পাঞ্জাবি পরিষ্কার করে উঠার সময় বুঝতে পারে যে তার পকেটে রাখা সেই টাকা গুলো আর নেই।
ঘটনাস্থলেই জালাল উদ্দিন বুঝতে পারে যে তার পকেটে রাখা ৫৩ হাজার টাকা ছিনতাই হয়ে গিয়েছে এবং সাথে সাথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে জালাল উদ্দিনের পাশে দাঁড়িয়ে তার অসুস্থতার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় জালাল উদ্দিনের ছেলে ইমতিয়ার রহমান সাদ্দাম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিনের ছেলে ইমতিয়ার রহমান সাদ্দাম বলেন, আমার বাবা দৌলতপুর সোনালী ব্যাংক থেকে ৫৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে বাহির হলে প্রথম একজন ব্যক্তি আমার বাবার পরিহিত পাঞ্জাবিতে মন লাগিয়ে দিয়ে চলে যায় পরে আরেকজন এসে তা ধৌত করার পরামর্শ দেয় এর মাঝেই তারা সুকৌশলে আমার বাবার পকেট থাকা ৫৩ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেই।
এ বিষয়ে রিফাইতপুর ইউনিয়নের সংগ্রামপুর ওয়ার্ডের মেম্বার রিপন মন্ডল বলেন, এ ধরনের ঘটনা দৌলতপুর উপজেলায় নতুন নয় এর আগেও অনেকবার ঘটেছে আমরা চাই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার একটি সঠিক সমাধান হোক।
এদিকে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করেছে এবং উপজেলা চত্বরে লাগানো বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ প্রক্রিয়া চলছে।