দৌলতপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ২ সাংবাদিকের উপর হামলারা ঘটনা সঠিক তদন্ত করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সাংবাদিকদের জানালেন ওসি মজিবুর রহমান।
২৭/০৯/২০২২ তারিখ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলা ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন দৌলতপুর থানায় নবনিযুক্ত ওসি মজিবুর রহমান।
তিনি আরো জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে এজন্য সাংবাদিকদের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতাও চান তিনি।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাপ্তাহিক দৌলতপুর বার্তার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সেলিম রেজা বাচ্চু,দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসির সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব আলী,দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক আলাউদ্দিন আলী, দৈনিক কুষ্টিয়ার দর্পণ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি সুনাই রহমান সুজন, দৈনিক দেশ তথ্য পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি মহির উদ্দিন, জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি আবুল বাশার ও সাপ্তাহিক দৌলতপুর বার্তার স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদ হোসেন।
উল্লেখ থাকে যে, উপজেলার মথুরাপুরে স্থানীয় একজন বাসিন্দার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি আবুল বাসার ও সাপ্তাহিক দৌলতপুর বার্তা’র স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদ হোসেন অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়।
হামলার শিকার সাংবাদিক আবুল বাসার বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে তারপর দিন দৌলতপুর থানায় একটি লিখত এজাহার জমা দেয়।
এজাহার সূত্রে জানাযায়,গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) বিকাল ৪ টার দিকে বাল্যবিবাহের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলার মথুরাপুর শেখ পাড়া গ্রামের জনৈক নাজমুল ইসলামের বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছানো সাথে সাথেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবুল বাসার আরো জানান, পাকা রাস্তার উপর দাড়িয়ে বর কে বরণ করার জন্য নির্মিত গেইটের ছবি তোলেন সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন। এসময় বাড়ীর ভেতর থেকে গালি দিতে দিতে তেড়ে আসেন
উপজেলার সোনাইকুন্ডি মাদ্রাসা পাড়ার মৃত সিফাত মন্ডলের ছেলে যাকাত আলী। সাংবাদিকের ব্যবহৃত মটরসাইকেলে “প্রেস” স্টিকার দেখে ক্ষিপ্ত হন ।
যাকাত আলীর নির্দেশে মাহিম(৩০),আশিক(২৮),মিলন,শাহজাহান,তানিম,পলাশসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২জন লাঠিসোঠাসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে সাংবাদিকদ্বয়ের উপর হামলা করেন। মথুরাপুর শেখ পাড়া গ্রামের আজিরুদ্দিনের ছেলে রানাসহ স্থানীয়রা সাংবাদিকদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় কুষ্টিয়া জেলা ও দৌলতপুর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং
অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীও জানান তারা।
এ বিষয়ে, বিশেষ সূত্রে জানা গেছে যে কনের পিতা নাজমুল ইসলাম ২০০৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জন্মসনদে কনের জন্মতারিখ ১২ অক্টোবর -২০০৫ হলো কিভাবে? ইহারও অতিব তদন্তের প্রয়োজন।