আমি যখন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তখন তিনি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ।
অনেক দূর থেকে দেখেছিলাম তাঁকে।
শুনতাম তিনি খুবই শিক্ষার্থীবান্ধব কিন্তু তাঁর নিকটে যাওয়ার সাহস হয় নি কখনো।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার লেখা একই বর্ণের “বিশ্ববন্ধু বঙ্গবন্ধু” নামক মহাকাব্যিক কবিতার উপর প্রতিবেদন তৈরির জন্য তাঁর বক্তব্যের প্রয়োজন ছিল কিন্তু তাঁর নিকট যাওয়ার সাহস হচ্ছিল না।
অবশেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ লুৎফর রহমান এর বিশেষ সুপারিশে তাঁর অফিসে যাই। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনি আমাকে ভিতরে আসতে বলেন।
তাঁকে কবিতাটি সম্পর্কে অবগত করলে তিনি তা পরখ করে দেখেন এবং তাঁর মতামত প্রদানে রাজি হন।
উল্লেখ্য, আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আর তিনি ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ও কলা অনুষদের ডিন।
তাঁর বিভাগের শিক্ষার্থী না হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে অমায়িক ব্যবহার করেছিলেন তা ভুলবার নয়।
পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ সেমিনারে যোগদান এর উদ্দেশ্যে গমনের মুহূর্তে শত ব্যস্ততার মধ্য দিয়েও তিনি একই বর্ণের ব্যতিক্রমধর্মী কবিতাটি সম্পর্কে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন।
তাঁর আন্তরিকতাই মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
কিছুদিন আগে বাংলা একাডেমি, ঢাকাতে গিয়েছিলাম মহাকাব্যিক কবিতাটি প্রকাশের বিষয়ে কথা বলতে। সেখান থেকে আমাকে তাঁরই নিকট থেকে পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলা হয়।
আমি এইটা জেনে অবাক হই যে, তিনি বাংলা একাডেমিরও একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
অবশেষে হঠাৎ করেই তাঁর সাথে আবার সাক্ষাৎ করি।
তিনি তাঁর সম্মুখে রাখা দুপুরের খাবার খেতে না বসে প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের পিছে ব্যয় করেন।
তাঁর চোখে মুখে ছিল আন্তরিকতা, উদারতা ও সহানুভূতি।
কেউ যে তাঁর পদ, পদবী, ক্ষমতাকে ছাপিয়ে একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারে তাঁর সান্নিধ্যে না আসলে হইতো তা উপলব্ধি করা সম্ভব হতো না।
তিনি হলেন লেখক, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক, সমালোচক, রাজনীতি বিশ্লেষক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী।
শিক্ষার্থীর চোখে তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক এবং কবির চোখে তিনি একজন সাদা মনের মানুষ যিনি পরিচিত অপরিচিত সকলকে আপন করে নিতে জানেন ভালবাসা ও আন্তরিকতা দিয়ে।