কুষ্টিয়া পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রক্তিম উদ্দিন কোয়েল, জুয়েল, শেখ দীপ্তর নামে চাঁদার অভিযোগ, চাঁদা না পেয়ে সোহান’স বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এর ম্যানেজার মোঃ আশরাফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যেয়ে, মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
কুষ্টিয়া শহরের ৪ নং ওয়ার্ডে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে সোহান’স বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সেন্টার অবস্থিত হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় এমন চাঁদাবাজি হুমকি ধামকি সহ নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গত ৭য় মার্চ মঙ্গলবার সোহান’স বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এর ম্যানেজার মোঃ আশরাফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে মারধর করে কোয়েল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এবং বলতে থাকে তোর ক্ষমতা থাকলে কিছু করিস, আমার এলাকাই ব্যাবসা করতে হলে আমাদের কথা মতই করতে হবে। আমাদের দাবী দাবা পূরন না করলে তোদের কপালে দুখ্য আছে। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনটি অভিযোগ করেন আহত ভূক্তভুগী সোহান’স বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এর ম্যানেজার মোঃ আশরাফুল ইসলাম। এছাড়াও এলাকায় খোজখবর নিয়ে জানা গেছে অত্র এলাকায় যতগুলো কচিং ও ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান আছে বিভিন্ন জাইগা থেকে চাঁদা বাজি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত কালকের ঘটনাই প্রত্যক্ষ দশিরা জানান ৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার কোয়েল বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। সন্ত্রসী মূলক আচারন করছে। একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচারন কোন ভাবেই মেনে নেওয়া য়ায়না। সে জনগণের সেবাই নিয়োজিত থাকবে, জনগণের ভালোমন্দ দেখবে, জনগণের রক্ষক হবে। কিন্তু সে তা না করে উল্ট জনগনের আতঙ্গের কারন হয়ছে। প্রসাশন ও উর্দ্ধতম কর্তিপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করছি। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করলে ভালো হয় সে পদক্ষেপ গুলো নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে একজন জনপ্রতিনিধি এমন আচারন যাতে না করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাশনের দৃষ্টি আকর্শন করছি।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড এর অভিযুক্ত কাউন্সিলর রক্তিম উদ্দিন কোয়েল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলা মিত্যা বলে তিনি দাবি করেন।এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সুনামধন্য কোচিং সোহান’স বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং এর পরিচালক মোঃ নাহিদুল ইসলাম সোহান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন তিনি দির্ঘদিন ধরে আমার কাছথেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে অর্থ আদায় করে থাকে। কিছু দিন আগে আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। দিতে অপারোগতা প্রকাশ করলে সে আমার কর্মচারীকে তুলে নিয়ে মারধর করেছ্ । এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় ১, রক্তিম উদ্দিন কোয়েল, ২, মোঃ জুয়েল, ৩, শেখ দিপ্ত সহ অজ্ঞাত আরো ১/২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার জমা দিয়েছে । এজাহার জমা দিয়ার পরে তাদের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তার আপন মামাতো বোন কে দিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষন্ন্য করতে চক্রান্ত চালাচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠানের কোন এক শিক্ষক নাকি তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। যা সম্পুন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । আমার পুরা প্রতিষ্ঠান সিসি টিভির আওতা ভুক্ত। বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রেমের প্রস্তাব কোন না কোন ডিভাইজের মাধ্যমেই হতে পারে। এমন কোন তথ্য প্রমান দিতে পারলে আমাদের কে যে সাজা দিবেন আমরা তা মাথা পেতে নিবো।আমি প্রশানের কাছে যোর দাবি জানাচ্ছি এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোশিদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। যাতে আগামিতে কেউ এমন জঘন্য তম কাজ করতে না পারে। এই বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে। দুই পক্ষের পালটা পালটি অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।