ভেড়ামারার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে সন্তান কর্তৃক জন্মদাতা মাকে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন। পিস্তল ও গুলি উদ্ধার।
ছেলে সাইফুল পলাতক।
নির্মাণাধীন বাড়িতে চাঁদা দাবিকালে এলাকাবাসী কর্তৃক সন্ত্রাসীদের নিকট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দোলুয়া গ্রামে একটি বাড়িতে নির্মাণ কাজ চলার সময় সন্ত্রাসী সাইফুল কতৃক বাড়ির মালিকের নিকট চাঁদা দাবি কালে, এলাকাবাসী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের ঘেরাও করে তাদের নিকট থেকে একটি আগ্নেয়স্ত্র ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আকিবুল ইসলাম, এসআই আবু সাঈদ সঙ্গীয় ফোরসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অত্র প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধান কালে এলাকাবাসীর ভাষ্য থেকে জানতে পারেন, আজ সোমবার জহুরা বেগমের নির্মানাধীন বাড়ির ছাদ ঢালাই এর কাজ চলছিল। সকাল অনুমান দশটার দিকে সাইফুল, রনি ও মিঠু নামে তিনজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী একযোগে উক্ত বাড়িতে এসে শ্রমিকদেরকে কাজ বন্ধ করার জন্য বলে। তখন জহুরার ভাই আব্বাস সহ অন্যান্য লোকজন একত্রিত হয়ে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদেরকে ঘিরে ফেলে। সন্ত্রাসী সাইফুল তার কাছে অস্ত্র আছে বলে ভীতি প্রদর্শন করলে আব্বাসসহ অন্যান্য লোকজন সাইফুলের দেহ তল্লাশি করে তার কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পায়। এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করবার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি করে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ভুক্তভোগী জহুরা বেগম জানান চাঁদা দাবিকারী সাইফুল তার পুত্র। সে তার নাতির দেওয়া টাকা দিয়ে গৃহ নির্মাণ করছিল। এর আগেও সাইফুল এই বাবদে ৩০,০০০ টাকা নিয়ে গেছে। আজ তাকে ৪০ হাজার টাকা না দিলে সে কোন অবস্থাতেই কাজ করতে দেবে না বলে জোরপূর্বক কাজে বাধা সৃষ্টি করে। মায়ের কাছে পুত্রের চাঁদাদাবির ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। থানা সূত্রে জানা গেছে উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান। আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি কার্তজ উদ্ধার হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।