প্রতি বছর অসংখ্য অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। এর অধিকাংশেরই সূত্রপাত হয় সিগারেট বা বিড়ির জ্বলন্ত টুকরো থেকে।
সম্প্রতি বঙ্গবাজারে ঘটা অগ্নিকাণ্ডও সিগারেট বা কয়েলের আগুন থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই অগ্নিকাণ্ড রোধে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা জরুরি বলে বলে মনে করছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অগ্নিকাণ্ড রোধে পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করারও আহ্বান জানায় এই জোট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এতে প্রচুর মানুষের জীবন ও সম্পদ ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে এই মূহুর্তেই সবার সতর্ক হওয়া জরুরি।
সিগারেট ও বিড়ির জ্বলন্ত টুকরোকে অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম কারণ আখ্যায়িত করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর অসংখ্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এর অধিকাংশেরই অন্যতম কারণ হতে পারে সিগারেট বা বিড়ির জ্বলন্ত টুকরো। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল
ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে সিগারেট বা বিড়ির ফেলে দেওয়া জ্বলন্ত টুকরা থেকে ১৭ হাজার ৯৭৯টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে ৩ হাজার ১৯৩টি, যা মোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১৪.৭৮ শতাংশ। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমান ১৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ২০২২ সালে একই কারণে ৩ হাজার ৮৭৮টি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি হয় ৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার অধিক। যা মোট অগ্নিকাণ্ডেের ১৬.৮ শতাংশ।