কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের গলাকাটি গ্রামে তিন সন্তানের এক জননী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানাগেছে।
ধর্ষণের শিকার তিন সন্তানের ঐ জননী ইউনিয়নের গলাকাটি গ্রামের মিলনের স্ত্রী।
ধর্ষণের শিকার ঐ জননী বলেন দুপুরের দিকে আমি আমার ছোট ছেলেকে দুধ খাওয়ানো অবস্থায় একই এলাকার মুক্তার ফকিরের ছেলে চান্দু পাশের বাড়ির এক মহিলার সহযোগিতায় আমার ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই জননীর স্বামী মিলন বলেন, ইতিপূর্বে চান্দু ভিন্ন সময় আমার স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল তারি ধরাবাহিকতায় আজ দুপুরের দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ বুঝে আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে চান্দু ও চান্দুর বংশের লোকজন পুনরায় আমার বাড়িতে এসে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেয়।তাদের কথায় আমরা প্রতিবাদ করলে তারা আমার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালাই।
এ বিষয়ে রিফাতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বাবলু বলেন, গলাকাটি গ্রামের ধর্ষণের বিষয়টি এরই মধ্যে আমি জানতে পেরেছি, আমার রিফাতপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় অন্যায় করে কেউ কখনো পার পাবে না সে যতোবড় শক্তিশালী হোক। আমি পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ধর্ষণকারীকে দ্রুত আইন এর আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হোক।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ধর্ষণের শিকার অভিযোগকারী ওই মহিলা ও তার পরিবারের লোকজন হামলার শিকার হয়ে দৌলতপুর হসপিটালে ভর্তি রয়েছেন আসলে প্রকৃতপক্ষে এটি ধর্ষণ না অন্য কিছু তা অনুসন্ধানে কাজ করছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা হাতে পাইনি।