কুষ্টিয়ার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মালেকের নামে জোর পূর্বক ভাঙচুর ও অবৈধ ভাবে ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে । তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এই কার্যক্রম চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর মালিথা পাড়ার বাসিন্দা মো: শাহজাহান মালিথা। তিনি বলেন উক্ত ঠিকানায় আমার একটি বাড়ি সহ জমি আছে সেখানে আমি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি । এই জায়গাটা নিয়ে তাদের সাথে আমার মামলা চলমান রয়েছে । মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও আদালতের আইন অমান্য করে জোরপূর্বক আমার জমি সে অবৈধ ভাবে আদালত অবমাননা করে দখল নিতে চাই। কুষ্টিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক । তার সহযোগীরা হলেন

মৃত জালাল উদ্দিন জালুর ছেলে মো: তুফান ,

শমসের আলীর ছেলে মোঃ সোহান ,মৃত জালাল উদ্দিন জালুর মেয়ে মোছা: আমেনা সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তি ২৯/০৪/২৪ আনুমানিক বেলা ১১ সময় বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ির উপরে এসে তার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমার বাড়ি ও জমি দখল করার জন্য ঘরের গোয়াল,পানির ট্যাংক, এবং বসতবাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে থাকে যাহার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা। আমি তাদের কে বাধা প্রদান করতে গেলে আমাকে ও আমার ছেলে মো: শামীম সহ পরিবারের সদস্যদের কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দেই। এই ঘটনা চালানোর সময় আমরা ৯৯৯ এ ফোন করে প্রশাসনের সহযোগিতা নি । তখন প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে। ইতি পূর্বে আমি এবং আমার পরিবারের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এবং মারপিট করে এই জমির কারনে তারই প্রেক্ষিতে গত ০১/০৪/২৪ খ্রি: বিবাদী গানের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছিলাম যাহার জিডি নং-৩০ এই জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা চলমান আছে (যাহার মামলা নং- ৩/২৪ )অথচ আদালতকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি সন্ত্রাসী মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে গেলে তার উপরে শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ দোষীরা জানান মাঝেমধ্যে এই জায়গা নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের দন্ড চলে আসছে। তিনি বর্তমানে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তার কাছ থেকে এমন সন্ত্রাসী মূলক আচারন আমরা কোন ভাবেই আশা করি না।
দল পাটি তো আমরাও করি আমাদের নেতারা তো এমন কার্যক্রম করার নির্দেশনা তো দেয় না। বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি একজন মানবিক নেত্রী। তিনি দলের নাম ভাঙিয়ে যারা এরকম অপকর্ম করে এমন মানুষকে নেত্রী পছন্দ করেন না। ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক তিনি তার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের জন্য দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সুনাম নষ্ট করছে। আমাদের দাবি আগামীতে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৭ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পরিবর্তন করে একজন সৎ সাহসী যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। যাতে এলাকায় শান্তি বজায় থাকে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় এ বিষয়ে নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই বিষয়ে মো: মালেক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আমি তাদের তিন মাসের সময় দিয়েছিলাম জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তারা জায়গা না ছাড়ায় আমরা আজকে দখল নিচ্ছি। এই ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মো: শাহজাহান মালিথা এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।