কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাতুয়া গ্রামে আবারো বইছে অশান্তির ঝড় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মঞ্জু হত্যাকাণ্ডের পরে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামীরা বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে এলাকায় ফিরে আসে।এরপরে বিলগাতুয়ায় বেশ কিছুদিন কোন বড়সড় ঝামেলা না হলেও এ মাসের আগামী ১১ তারিখ কে কেন্দ্র করে নতুন ভাবে বইছে অশান্তির ঝড়।
এলাকা ঘুরে প্রতিবেদক জানতে পারে এ মাসের আগামী ১১ তারিখে মঞ্জু হত্যা মামলার ফাইনাল চার্জশিট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল হবে। এবং এর কারণে জামিনে থাকা বেশ কিছু আসামি পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
যা নিয়ে আসামি পক্ষ কতৃক নির্মমভাবে হত্যার শিকার মঞ্জুর বংশীয় লোকজনসহ মামলার বাদী মঞ্জুর আপন ভাই আসাদুল কে নানা সময় মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি সহ এলাকার ভিতরেই অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
বাদী পক্ষের লোকজন কে আসামি পক্ষের রফিক মালিথার ছেলে তারিক,নোয়াব আলীর ছেলে হেলাল,আছের মালিথার ছেলে টুয়েল,আরজেদ মালিথার ছেলে সেন্টু,লাজিম মালিথার ছেলে জাহাঙ্গীর ও আজিজুলের ছেলে সান্টু প্রায় সময় হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে মঞ্জু হত্যা মামলার বাদী মঞ্জুর আপন ভাই আসাদুল বলেন,গত ১৪ মাস আগে আমার ভাই কে এলাকার একটি বাজারের কাছাকাছি জায়গায় নির্মমভাবে কুপিয়ে ও বোমা মেরে জখম করে হত্যা করে এলাকার চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। এমন অবস্থায় আগামী ১১ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে ফাইনাল চার্জশিট জমা হওয়ার কথা।
মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আসামিপক্ষ কোন দিশে না পেয়ে আমাদের উপর শুরু করেছে নানা ধরনের অত্যাচার। মাঠে-ঘাটে যাকেই পাচ্ছে তাকেই হত্যা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে তেড়ে এসে ধাওয়া দিচ্ছে ।
এবং বলছে আগামী ১১ তারিখের আগে যদি মামলা তুলে না নিস তাহলে তোকে সহ তোর বংশে মাথা তুলে দাঁড়ানোর মত যারা আছে তাদেরকেও আবার হত্যা করে ছাড়বো।
অন্যদিকে মঞ্জু হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী আবু সাঈদ মজনু জানান আমি ০৭/০৬/২০২৪ তারিখ সকালের দিকে প্রতিদিনের ন্যায় মাঠে কাজ করার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হলে পথের মধ্য হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হেলাল মালিথা আমার পথ আটকিয়ে গলায় দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া বাধিয়ে সাক্ষী না দিতে ভয়-ভীতি দেখায়। হেলাল আরো বলে আমাদের বিরুদ্ধে তুই যদি সাক্ষী দিতে যাস তাহলে জীবন নিয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসতে পারবি না। আজ থেকে আমার কথা অনুযায়ী চলবি।
আর যদি না চলিস তাহলে আমাদের বংশের ভিতরেই কাউকে নতুন করে হত্যা করে তোদের সাতে গুষ্টিকে হত্যা মামলায় ঢুকিয়ে দিব।
এ বিষয়ে হত্যার স্বীকার মঞ্জুর এক বংশীয় চাচা বলেন, আসামিপক্ষের লোকজন মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী হওয়ায় তাদের টাকা-পয়সা অনেক। তাদের টাকা পয়সা দিয়ে বিভিন্ন মহল কে ম্যানেজ করে মামলা তুলে নিতে আমাদের উপর চালাচ্ছে নানা ধরনের অত্যাচার ।
তিনি আরো বলেন ০৭/০৬/২০২৪ তারিখ সকালে আগামী কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমার এক ভাতিজার ফার্ম থেকে কিছু গরু বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বাজারে নিয়ে যেতে ছিল পথিমধ্যে আসামিরা সেই গরু গুলো কেড়ে নিতে যায় পরে আমাদের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে গরু গুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এবং আসামিরা হুমকি দেয় যে বেচাকেনা যা করবি ১১ তারিখের পরে আগে মামলা তুলবি তার পরে বেচাকেনা।
এমন অবস্থায় চরম হতাশায় ও ভয়ে দিনযাপন করছে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হওয়া মঞ্জুর পরিবারের লোকজন সহ এলাকার বংশীয় লোকজন। তাদের দাবি সন্ত্রাসী, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী হেলাল, টুয়েল,সেন্টু,তারিক,জাহাঙ্গীর,ও সান্টু গংদের কঠোর বিচারের মধ্য দিয়ে আইনের আওতাই এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হোক ।
এলাকার উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দৌলতপুর থানা পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে বলে জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান মিনে
ছবির ক্যাপসন: হত্যা মামলার আসামি