মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা ধরনের লাঞ্চিত ও তাদের গাছ কেটে নেওয়ার অপচেষ্টা ও হুমকি প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোছাঃ মাসুদা খাতুন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন তার মেজ ছেলে মোঃ বারিক হোসেনের জমি হাসিমপুর মৌজার আর,এস ৫৭২ খতিয়ানের ৩২২ ও ৩৪৮ নং দাগে মোট ০.৭১০০ একর জমি রহিয়াছে। উক্ত জমিতে আমন, কাঁঠাল ও মেহগনি গাছের বাগান রয়েছে। তাহার জমির পূর্ব – পশ্চিম পাশে বিবাদী শামছুল আলমের জমি রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন আমার ছেলের জমির সীমানার মধ্যে থাকা প্রায় দুই লাখ টাকার গাছ জোড় পূর্বক কেটে নেওয়ার অপচেষ্টা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নানান ভাবে লাঞ্ছিত ও হুমকি প্রদান করে চলেছেন শামছুল।
সরেজমিনে গেলে শামছুলের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ পাওয়া যায়, তিনি হঠাৎ করেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন বলেও জানান এলকাবাসী। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেশীরা জানান কয়দিন আগে শামছুল অনেক লোকজন নিয়ে এসে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের গাছ কেটে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লালন শেখ বলেন আমার মা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এখন প্রসাশন যে বিচার করবেন আমরা সেটা মেনে নেবো।
শামছুলের এক চাচাতো ভাই অভিযোগ করে বলেন , আমার ১৬ শতক জমি ও জাল করে নিয়েছেন শামসুল।
উক্ত জমির সীমানার বিষয়ে একাধিকবার জমি মাপা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে সমাধান করতে চাইলে তাদের কথার কোন পাত্তাই দেননি শামছুল।
জগন্নাথ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ খান বলেন ঐ জমি ও গাছের প্রকৃত মালিক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
এদিকে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগটি কুমারখালী সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ আমিরুল আরাফাত এর নিকট বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের লাঞ্চিত ও তাদের গাছ কেটে নেওয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ইউ এন ও এর বরাবর লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আমিরুল আরাফাত বলেন মুক্তিযোদ্ধা মোছাঃ মাসুদা খাতুনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।