কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে জ্ঞাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শরীকানা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ঠ দ্বন্দের জেরে চাচা ও চাচাতো ভাইদের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জসিম উদ্দিন (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝাউদিয়া বাজারের অদুরে হিন্দুপাড়া এলকায় নিজ বাড়িতে এই হামলার ঘটনায় নিহত জসিমের ছোট ভাই রশিদ (৩২) গুরুতর আহত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহত জসিম স্থানীয় বাসিন্দা পাতারি মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় ভ্যানচালক।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে নিহতের চাচা লালন মন্ডল ও তার ছেলেদের সাথে বাড়ির জায়গা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ঝগড়া, তর্কাতর্কি ও শোর চিৎকার হচ্ছিল। এক পর্যায়ে চাচা লালনসহ তার ছেলেরা জসিম ও তার ছোট ভাই রশিদের উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় জসিমের মাথায় হাসুয়ার কোপ লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে জসিম মাটিতে পড়ে যায়। জসিমকে বাঁচাতে গিয়ে ভাই রশিদও লাঠির আঘাত ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীদের সহায়তায় পরিবারের লোকজন আহত ভ্রাতৃদ্বয়কে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জসিমকে মৃত: ঘোষনা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য পলাশ মেম্বর বলেন, জসিম-রসিদদের সাথে তার চাচা, ও চাচাতো ভাইদের জায়গা জমি ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ চলে আসছিলো। ইতোপূর্বে একাধিকবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা আপোষ মিমাংশা করে দিলেও পরে তা কোন পক্ষই মানে না। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান রতন জানান, শনিবার ১১টার দিকে ঝাউদিয়া গ্রামে মার্ডারের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে। সেখানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জসিম নামে গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত: ঘোষনা করেন। এছাড়া নিহত জসিমের ভাই আহত রশিদ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীণ আছেন। এঘটনায় এখনও কেউ মামলা করতে থানায় আসেনি। এই হত্যাকান্ডে যার জাড়িত তাদেরও গ্রেফতার করে আদালতে সৌপর্দ করা হবে।