শনিবার (২১আগস্ট) বিকেল ৩টার সময়, কুষ্টয়ার দৌলতপুর উপজেলা বোয়ালিয়া র গোয়ালগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে,মোঃ মামুন কবিরাজ ও মোঃ কামরুল ইসলামে র পরিচালনায়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দৌলতপুর উপজেলা শাখা র বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ত্র্যাডঃ শরীফ উদ্দীন রিমন এর সঞ্চালনায় এবং দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সভাপতি ও সাবেক এম পি,আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী, র সভাপতিত্বে,২১আগস্ট পালিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ত্র্যাডঃ নজরুল ইসলাম,মেঃ মহিউদ্দী মহি, মোঃ আব্দুল খালেক,মোঃআনোয়ার হোসেন,মোঃহবিবুর রহমান হবি, মোঃআসমত আলী মাষ্টার, মোঃসেলিম চৌধুরী, মোঃ জামিরুল ইসলাম বাবু, সর্দার,আক্তার হোসেন, মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ দেওয়ান,মোঃআব্দুল্লা হেল বাকি, মোঃসেরিকুল ইসলাম, মোঃনাজিম উদ্দীন মেম্বার,মোসাঃ মারুফা ইয়াসমিন সুরভি, মোঃ মির্জা আলম রিগান,মোঃগোলাম জাকারিয়া, মোঃ আসলাম হোসেন, মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ জুলফিকার আলী সুমন,মোঃ স্বপন, মোঃ বকতিয়া রহমান বাচ্চু, সহ ১৪ ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা এ সময়।
সঞ্চালক দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ত্র্যাডঃ শরীফ উদ্দীন রিমন বলেন।
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা হয়। সেদিন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী প্রাণ হারান। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। আজও সে আঘাত নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেকে।
রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে সংগঠনের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির জাতীয় নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ওই ঘৃণ্য হামলা চালায় ঘাতকচক্র। শুধু গ্রেনেড হামলাই নয়, সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়ি লক্ষ্য করেও চালানো হয় গুলি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি আহত হন, তাঁর শ্রবণশক্তি চিরদিনের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আওয়ামী লীগের, সহ সভাপতি, সাবেক এম,পি,আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী তিনিও মনে করেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা; সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, একাত্তরের ঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর নীলনকশায় সংঘটিত হয় নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞ।
আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এ সংক্রান্ত মামলার সঠিক তদন্ত হয়নি, ষড়যন্ত্রের হোতাদের রক্ষার উদ্দেশ্যে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং আলামত ধ্বংস করার নানাবিধ ষড়যন্ত্র হয়েছে। এমনকি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় গ্রেনেড হামলা মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে তিনি মনে করেন।
দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা তাদের বক্তব্য বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতায় রাজনৈতিক সমাবেশে যে ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই ভয়াল দিনটি বাঙালি জাতি কোনো দিন ভুলবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত বাংলাদেশের জনগণ ২০০৪ সালের পর থেকে ২১ আগস্ট দিনটিতে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদবিরোধী নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। প্রতিবারের মতো এবারও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এর মধ্যে আছে ২১ আগস্ট (শনিবার) সকাল ১০টায় দৌলতপুর আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে পতাকা উত্তলনের মধ্যে দিয়ে দিনটি শুরু করেন নেতাকর্মীরা।পরে অনুষ্ঠান শেষে ২১আগস্ট জারা শাহাদাৎ বরন করেছিলেন তাদের জন্য দোয়া করে অনুষ্ঠানে র সমাপ্তি করেন।