মেহেরপুর অঞ্চলের ব্রিটিশ আমেরিকা কোব্যাকো মোম্পানীর আর এমও সাজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তামাক ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।তিনি যোগদান করার পর থেকে মেহেরপুর জেলার চাষীদের ঠকিয়ে কম দামে তামাক ক্রয় করেছে।এছাড়াও তামাক ক্রয় বন্ধ ঘোষনা করার পরেও সাজাদ হোসেন কিছু অসাদু ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশে গোপনে তামাক ক্রয় শুরু করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাষীরা জানান, কোম্পানীর নির্দেশে তামাক ক্রয় বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এর পরেও চাষীদের গোপন করে মেহেরপুর ডিপোতে গত ১৯-০৫-২২ইং তারিখ রাত ১২ টার সময় আর এমও সাজাদ হোসেন তামাক ক্রয় করেছেন।যেখানে আমারা অনেক পরির্শম করে তামাকের নেজ্য মূল্য পাইনা। সেখানে কি করে ব্যবসায়ীরা গোপনে পুরানো তামাক বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন।
কৃষকরা আরও বলেন,সাজাদ হোসেন গড়ে তুলেছেন বড় ধরনের সিন্ডিকেট।আর সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তামাকের নির্ধারিত মূল্যে’র চেয়ে বেশি দাম দিয়ে ব্যাবসায়ীদের নিকট থেকে রাতের আধাঁরে পুরানো তামাক ক্রয় করে লুটপাট করছে কোম্পানীর বিপুল পরিমান টাকা।আর এমও সাজাদ হোসেন দালাল চক্রের ফাদে ফেলে অনেক তামাক চাষীকেই সর্বশান্ত করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
দালাল চক্রের ফাদে তামাক চাষীরা সর্বশান্ত সেচ্ছাচারিতা স্বজনপ্রতি লুটপাট ও দালালদের মাধ্যমে তামাক লেনদেনের কমিশন নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।অনিয়মনের কারণে মেহেরপুর অঞ্চল থেকে দিনদিন কমছে তামাক চাষ। কোম্পানী থেকে লোন নেয়ার পরিমান মত টাকার তামাক ক্রয় করছে। টাকা পরিশোধ হওয়ার পর আর কোন তামাক কিনছেনা। অথচ সেইসব চাষীদের কার্ডে দালালের মাধ্যমে কতিপয় ব্যবসায়ী ও নামধারী চাষীদের কাছ থেকে তামাক ক্রয় করছে।পরে ঐসব চাষীদের কাছে ব্যাংকের চেক দাবি করছে। চেক না দিলে কার্ড কেটে দেওয়ার হুমকীও দেয়া হচ্ছে।
তামাক চাষ বৃদ্ধি চাষীদের ন্যায্য মূল্যে নিশ্চিত ও মেহেরপুর ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকোর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।এ বিষয়ে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।