কুষ্টিয়া জেলা উলামা পরিষদের উদ্যোগে কুষ্টিয়া জেলার সকল মানুষের আর্থিক সহায়তার আমানত নিয়ে জেলার পক্ষ থেকে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে ঈদ সামগ্রী ও উপহার বিতরণ করা হয়েছে। অসহায় বানভাসিদের নিকট কুষ্টিয়ার একঝাঁক নবীন ও প্রবীণ ওলামায়ে কেরামগণ ছুটে যান পাশে দাঁড়ানোর জন্য। “মানুষ মানুষের জন্য” এই উক্তির বাক্যটি কাজের মাধ্যমে আবারো সত্যায়িত করলেন মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে কুষ্টিয়া জেলা ওলামা পরিষদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী জামিআ” আরাবিয়া আশরাফুল উলুম এর শায়খুল হাদীস ও মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আবু দাউদ।এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী আব্দুল হামিদ,সাধারণ সম্পাদক মাওঃ রফিকুল ইসলাম নদভী,কোষাধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুল খালেক,মাওঃ আব্দুর রউফ, মাওঃ তরিকুল ইসলাম,মাওঃ আব্দুল মোমিন, মাওঃ ইলিয়াস হোসেন, হাফেজ শাকিরুল ইসলাম প্রমুখ। এক বক্তব্যে জামিআ” আরাবিয়া আশরাফুল উলুম এর মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আবু দাউদ বলেন বাংলাদেশের প্রতিটা অর্থসম্পদ ওয়ালা ব্যক্তিদের সিলেট,সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম সহ দেশের সকল প্রান্তের বানভাসি মানুষদের পাশে দাড়ানো উচিৎ, আর মুসলিমদের কে বলবো এটা তাদের ঈমানী পরীক্ষা ও মানবিক দায়িত্ব।
সিলেটের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সে পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন সিলেট সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনার পানিবন্দি মানুষদেরকে মুক্ত করার জন্য খুবই দ্রুত সকলকে এগিয়ে আসতে জোর দাবি জানাচ্ছি। এখনই যদি সেখানকার পানিবন্দি মানুষদের পাশে দাঁড়ানো না হয়,তাহলে ভয় হচ্ছে না জানি কিছুদিনের মধ্যে আরো কত অসংখ্য প্রাণ হানি হয়। সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জেলার বাড়িঘর রাস্তাঘাট সব পানিতে তলিয়ে গেছে। ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। দুচোখ যেদিকে যায় শুধু পানি আর পানি হওয়ার কারণে নৌকার ট্রলার ইত্যাদির প্রচন্ড চাহিদা দেখা দিয়েছে। আপনারা যে যেখানে আছেন নিজেদের দৈনন্দিন কাজ একটু বিরত রেখে দিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বেরিয়ে পড়ুন।”মানুষ মানুষের জন্য” মনে রাখবেন বিপদে যদি আমি আপনি অন্যের কাজে না আসতে পারি তবে আমার বিপদেও কেউ এগিয়ে আসবে না। জীবন যদি হয় শুধু আমার একার জন্য তাহলে আমি একজন ব্যর্থ ও অথর্ব মানুষ। আর জীবন যদি হয় সুখে-দুখে সকলের তরে তবেই তো এই জীবন সার্থক। এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী আব্দুল হামিদ বলেন
চট্টগ্রামের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে যেভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের মানুষ তাদের সর্বোচ্চর সর্বোচ্চটা দিয়ে অগ্নিদগ্ধদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো এমনিভাবে সারাদেশের সকলকে এখন সিলেটের বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানাচ্ছি। সিলেটের যে পরিস্থিতি, তা দেখে মনে হচ্ছে জনগণ এগিয়ে আসার সাথে সাথে সরকারকে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। হেলিকপ্টার ইত্যাদি দিয়ে পানিবন্দি লোকদেরকে স্থানান্তর করে স্থলে নিয়ে আসতে হবে।বাংলার সাধারণ জনগণকে বলবো বাস্তবতা উপলব্ধি করতে একটু সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখুন অসংখ্য ভিডিও পেয়ে যাবেন। সুতরাং কুষ্টিয়া জেলা উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে সকল মানুষদের নিকট আহবান থাকবে আসুন হাতে হাত রেখে সকলে মিলেমিশে বানভাসিদের পাশে দাড়িয়ে ইসলামের সুন্দর্য যার যার জায়গা থেকে তুলে ধরি।ওলামায়ে কেরামগণের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।