চুল না কাটার অপরাধে মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে ৫ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে শিক্ষক আরিফুল হাসান । এঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল রিতা পারভিন।
৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী শুয়াইব আব্দুল্লাহ সিফাতের বাবা মফিজুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার আমার ছেলের চুল কাটে স্কুলে না যাবার জন্য ইংরেজি শিক্ষক আরিফুল হাসান মারাত্মক ভাবে মেরে যখম করেছে। বর্তমানে আমার ছেলে এখনও আতংকিত। বিষয়টি আজ রবিবার আমি লিখিত ভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করেছি।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল রিতা পারভিনের বক্তব্য নেওয়ার সময় ৯ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর অবিভাবক রিতা পারভিনের কাছে এসে অভিযোগ করেন, তার ছেলে নবম শ্রেনীর ছাত্র। সে মানষিক ও শারিরিক ভাবে অসুস্থ। বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানে। তার পরও তার ছেলেকে বিদ্যালয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।
মেহেরপুর পৌর কলেজের রাস্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগি অধ্যাপক ফররুক আহম্মেদ উজ্জল বলেন, বিষয়টি অমানবিক। ৫ শ্রেনীর একজন শিক্ষার্থী শিশু। তার পক্ষে একা চুল কাটা সম্ভব নয়। তার বাবা বা পরিবারের কাউরির সাথে চুল কাটতে যায়। বিষয়টি তার পরিবারকে নোট দিলেই যথেষ্ঠ ছিলো। তিনি আরো বলেন এসব কারনেই শিক্ষক- শিক্ষার্থীর দুরুত্ব তৈরী হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে স্কুলের প্রিন্সিপাল রিতা পারভিন বলেন, আমাদের শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দিতে নিষেধ করা আছে। শিক্ষার্থী নির্যাতন করা সরকারি ভাবেও অপরাধ। কিন্তু শিক্ষক আরিফুল হাসান সে নিষেধ অমান্য করে অন্যায় করেছে। ইতিমধ্যে ঐ শিক্ষককে শ্রেনী কক্ষে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আজ রবিবার বিকালের দিকে আমরা জরুরী সভা ডেকেছি । এসভায় বিষয়টা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া ঐ শিশু শিক্ষার্থীর বাড়িতে যেয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক আরিফুর ইসলামের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সাথে সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।