1. admin@protidinerkushtia24.com : pk24 :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

দৌলতপুরে পুলিশ সেজে মুক্তিপণের দাবি

সজল
  • Update Time : বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩১৩ Time View

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর গ্রামের মোঃ জিহাদ হোসেন(১৮) পিতাঃ আবু হোসেন এর ছেলে একই গ্রামের মৃত কালু হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ শারমিন আক্তারের কাছে পুলিশ সেজে তার ছেলের মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ হাজার টাকার দাবি করে এই জিহাদ

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার সময় নেশার টাকার যোগান দিতে না পারায় নিজের বন্ধুকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করেই নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়েই বন্ধুর মা-এর কাছে মুক্তিপণ দাবি করে এই জিহাদ।

‌এ ব্যাপারে শান্তর মা শারমিন আক্তারের কাছে প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ছেলে বিকেলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ি থেকে বের হয় এবং তার কিছুক্ষণ পরে আমার কাছে ফোন আসে আমার ছেলে আমাকে ফোন দিয়ে বলে মা আমি শান্ত আমাকে পুলিশে ২০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করেছে এবং সেইসাথে আমার সাথে আরেক জনকে আটক করেছে পুলিশ। এবং আমাদের ছাড়াতে হলে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া লাগবে। আমার বন্ধু পুলিশকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছে এবং আমাকে ১০ হাজার টাকা লাগবে তুমি এক্ষনি টাকা পাঠাও আমার মোবাইল এবং টাকা পয়সা যা ছিলো তা সব কেড়ে নিয়েছে তুমি টাকা পাঠাও। এসময় আমি পুলিশের সাথে কথা বলতে চাইলে ওই পুলিশের সাথে আমাকে ফোন ধরিয়ে দেয় এবং আমাকে ওই পুলিশে বলে আমি দৌলতপুর থানা থেকে বলছি এস আই মেহেদী হাসান আপনার ছেলেকে আমরা ফেন্সিডিলসহ আটক করেছি আপনার ছেলে আমার পা জড়িয়ে ধরে কান্না করছে এখন যদি আপনার ছেলেকে ফিরে পেতে চান তাহলে এখনি ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিন আর যদি পাঠাতে না পারেন তবে আপনার ছেলেকে মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে চালান করে দিব বলে ফোন কেটে দেয়। আমি টাকা যোগাড় দেওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু টাকা কোথাও ম্যানেজ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বাসার পাশের বাসায় এক জনের কাছে সুদের উপরে ৫ হাজার টাকার ব্যাবস্থা করি পরে টাকা পাঠানোর জন্য ফোন দিলে টাকা আরো লাগবে বলে দাবি করে ওই পুলিশ। বার বার ফোন দেওয়ায় আমার সন্দেহ হলে আমি

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গর কাছে যাই এবং ০১৮৩২-২৯৮৬৫৭ এই পুলিশের নাম্বার তাদের কাছে দিই এবং কথা বলতে বলি, তারা কথা শুনে বুঝতে পেরে তার কাছে দৌলতপুর থানার ওসির নাম তার কাছে জিজ্ঞেস করে তা বলতে না পারায় আমাকে জানায় এটা ভুয়া পুলিশ তারপরে একজনকে দিয়ে লোকেশন ট্র্যাক করে জানতে পারি তারা দুজনেই প্রাগপুর হাইস্কুলের পেছনে আমার ছেলে ও তার বন্ধু জিহাদ বাগানে বসে ছিলো তাদেরকে হাতেনাতে ধরা হয়। এতে আমার ছেলেকে ওখান থেকে আমি নিয়ে আসি। তিনি আরও বলেন আমার ছেলে এসমস্ত ছেলেদের সাথে চলাচল করার জন্যই আজ আমার ছেলে নেশার পথে চলে গেছে এই নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় থাকি। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে সকলে বলেন ছেলে গুলো দিন দিন খুব বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং নেশার মধ্যে ঝুঁকে পড়েছে, এখনি যদি অপহরণের সাথে জড়িত হয় তবে বড় হলে এরা কি হবে তা নিয়ে চিন্তিত আমরা।

এ ব্যাপারে ১নং প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুজ্জামান মুকুল সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন জিহাদ ও শান্তর নামে এর আগেও অনেক অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পারিনি তবে শোনাযায় তারা এলাকার ভেতরে বিভিন্ন সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় প্রতিবেদক জিহাদের কাছে বার বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 protidinerkushtia24.com
Protidiner Kushtia