কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ২ নং মথুরাপুর ইউনিয়নের মহাদেব পুর কান্দির পাড়া এলাকার পচু মন্ডলের ছেলে, নয়ন (২৩) কে একটি পাখি ভ্যান চুরির অপবাদে স্থানীয় থানা পুলিশের সোর্স খ্যাত রফিক ও জুবায়ের রাসেলের নেতৃত্বে নয়নকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ১০ থেকে ১২ জন মিলে বেধড়ক মারধর করে।
মারধরের একপর্যায়ে নয়ন অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় থানার দালাল খ্যাত রফিক নয়নের বাড়িতে ফোন দিয়ে তাকে নিয়ে যেতে বলে। পরে নয়নের অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন ও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে রাখেন। পরে নয়নের অবস্থা উন্নতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়।
নয়ন পেশায় একজন ভ্যান চালক ছিলেন,এবং ভ্যান চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে থালা বাসন মাজার কাজ করতেন সংসার জীবনে তার ছয় মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ।
নয়নের বাবা পচু মন্ডল বলেন, আমার ছেলে কোন অবস্থাতেই কোন প্রকার চুরির সাথে জড়িত থাকতে পারে না। ইতিপূর্বে এধরনের কোনো অভিযোগও আমাদের কাছে আসেনি, কিন্তু ১৫/১৬ দিন আগে এক রাত্রে আমার ছেলেকে রফিক দালাল, সামিউল , রাসেল, সালাম, লিটন, সহ সব মিলিয়ে ১০/১২ জন লোক বাড়িতে এসে আমার ছেলে নয়ন কে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তারা নয়নকে চুরির অপবাদ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করে। আমি অনেকটা বাধ্য হয়েই টাকা দিতে স্বীকৃতি জ্ঞাপন করি এবং তার কিছু দিন পরে তারা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক একটি স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে আমার ছেলে নয়নকে হসপিটাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলে ১৩ তারিখ রাত আনুমানিক ১১ থেকে সকাল ৬ টার মধ্যে যে কোন সময় মনের দুঃখে ক্ষোভে পড়ে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে চেতনানাশক ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, রফিক দালালসহ এলাকার সংঘবদ্ধ একটি চক্র বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষ জনকে হয়রানি মূলক অপবাদ দিয়ে বিচার সালিশের নামে অর্থ আদায় করে থাকে। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায় এলাকায় বসবাসরত শান্তিপ্রিয় জনগণ।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, এজাহার পেয়েছি প্রাথমিকভাবে পুলিশ তদন্ত করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।