দস্যুতা’র মামলায় কুষ্টিয়ার মিরপুরের সদরপুর ইউনিয়নের চক শ্রীরামপুর এলাকার মৃত মহোর মোল্লার ছেলে আবুল কাশেম মোল্লা (৪৫) কে আটক করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বাগুন্দা এলাকা থেকে মিরপুর থানার এস আই আবু সাঈদ এর নেতৃত্বাধীন টিম আসামীকে আটক করে। আটকের পরে দস্যুতা’র কাজে ব্যবহৃত আলামত বোল্ড কাটার উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার পুরাতন আজমপুর এলাকার আইনাল হক (৬৬) এর বাড়িতে দস্যুতা’র ঘটনা ঘটে। যেখান থেকে নগদ ২২৩১১৯ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
ঘটনার পরবর্তী দিন ২৭ তারিখ আয়নাল হক মিরপুর থানায় অজ্ঞাত আসামীদের নামে একটি এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে যানা যাই, গত ২৫ তারিখ দিবাগত রাতে তিন জন লোক আসামি কাশেমের কাছে আসে। কাশেম তাদেরকে রাত দশটার দিকে আমলা এলাকা থেকে রিসিভ করে। পরে ২৬ তারিখ রাতে আয়নাল হকের বাড়ির প্রাচীর মই দিয়ে পার হয়ে চারজন লোক বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। কাসেম বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে থাকে এবং বাকি তিনজন বিভিন্ন ঘরে ঢুকে। সেখান থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ২৬ তারিখে সকালে ওই তিন ব্যক্তি রাজবাড়ী কালুখালী এলাকায় পৌছালে ডিবি পুলিশের চেকপোষ্টে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ আটক হয়। সেখানে তারা স্বীকার করে স্বর্ণালংকার ও টাকা মিরপুর এলাকা থেকে চুরির মাধ্যমে নিয়ে এসেছে। ২৬ তারিখ রাতে মিরপুর থানা পুলিশের কাছে খবর আসলে মিরপুর থানা পুলিশ মুল আসামির কে ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা করে। অতঃপর মূল আসামি কাসেম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসামি কাশেম মাজিহাট ক্যাম্পে বোমা হামলা মামলার আসামি এবং ২০০২ সালে একটি মার্ডার মামলার আসামি। এ ঘটনায় গত ২৯ তারিখ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী এর মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বাকি তিন আসামিকে মিরপুর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানা যায়।