১। মাদক কারবারীরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছে। চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় র্যাব-১ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মাদকদ্রব্য ইয়াবার বড় একটি চালান কক্সবাজার হতে বিশেষ কৌশলে (প্রাইভেটকারের সিলিন্ডারে) বহণ করে রাজধানীর দিকে নিয়ে আসছে। র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল এই মাদকবাহী চক্রের অনুসন্ধান শুরু করে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৩০ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার হতে ০২ টি প্রাইভেটকার যোগে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে ঢাকা হয়ে গাজীপুর জেলার দিকে যাচ্ছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি অদ্য ৩০ মার্চ ২০২৩ তারিখ আনুমানিক অনুমানিক ১৭৩০ ঘটিকায় নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন কেন্দুয়া কাঞ্চনব্রীজ এলাকাস্থ তিন কন্যা হোটেল এর সামনে পাকা রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ১) মোঃ মাইনুদ্দিন (২৮), পিতা-মোঃ মমিন, জেলা-গাজীপুর, ২) সোহাগ (২০), পিতা-মোঃ মমিন, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ৩) মোঃ জাওয়াদ (২৪), পিতা-মৃত শফিকুল আলম, জেলা-গাজীপুর, ৪) শাহরিয়ার রাব্বি (৩২), পিতা-মোঃ শফিকুর ইসলাম, জেলা-গাজীপুর, ৫) শাওন (২১), পিতা-মোঃ অতিকুর রহমান, জেলা-ময়মনসিংহ এবং ৬) মোঃ রানা (২৫), পিতা-মৃত জামিল মিয়া, জেলা-ময়মনসিংহ’দেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় ধৃত আসামীদের নিকট হতে ০২ টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ০১ টি প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডার কেটে ৪০,০০০ পিস এবং অপর ০১ টি প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডার কেটে ২৩,৭৬৫ পিস ও ১১০ গ্রাম ভাঙ্গা ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১,৯৩,৭৯,৫০০/- (এক কোটি তিরানব্বই লক্ষ ঊনআশি হাজার পাঁচশত) টাকা। এছাড়াও তাদের নিকট হতে ০৪ টি ড্রাইভিং লাইসেন্স, ০৮ টি মোবাইল ফোন, ০১ টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ০৪ টি হাতঘড়ি এবং নগদ ১৬,৬৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
৩। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রথমে তারা কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরাচালানের মাধ্যমে ইয়াবার চালান নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তারা কক্সবাজারের একটি গ্যারেজে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ইয়াবা ঢুকিয়ে ঝালাই দিয়ে দেয়। তারা ইয়াবার চালানগুলো বিভিন্ন পরিবহণের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করে। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিতে মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে আসছে। তারা অধিক উপার্জনের লোভে পড়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। তারা ইতিপূর্বে ০৪/০৬ টি ইয়াবার চালান একই উপায়ে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাসমূহে সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে।
৪। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।