আভিযোগের তদন্ত করতে যেয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে দৌলতপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক তেকালা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রহমান।
জানা যায় আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুনজুয়ারা খাতুন ও আদাবাড়ীয়া গ্রামের শাহারুল ইসলামের স্ত্রী নূর নহার খাতুন একে অপরের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় গত ২৫ জুলাই পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ তদন্তের জন্য তেকালা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রহমান উভয় পক্ষের বাড়িতে যায়।
পরে তদন্ত কার্যক্রমের জন্য তাদের উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এমন অবস্থায়,দৌলতপুর থানা পুলিশ বা এসআই আব্দুর রহমানকে কোন কিছু না জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মঞ্জুয়ারা খাতুন ও আদাবাড়ীয়া গ্রামের শাহারুল ইসলামের স্ত্রী নূর নহার খাতুন স্থানীয়দের মাধ্যমে আপস মীমাংসা করে নেয়।
যেহেতু থানায় তাদের উভয় পক্ষের অভিযোগ জমা দেওয়া ছিল এবং সেই অভিযোগে তদন্তভার এস আই আব্দুর রহমানের ওপর নেস্তো ছিল সেই সুবাদে আপস মীমাংসা কিভাবে হয়েছে এটি জানতে চেয়ে উভয় পক্ষের স্বাক্ষরিত মীমাংসা পত্র অথবা লিখিত কাগজ দেখতে চাই তদন্তকারী ওই কর্মকর্তা।
আর এতেই বাধে যত সব বিপত্তি, দালাল শ্রেণীর তৃতীয় একটি পক্ষ দুই অভিযোগকারীকে উসকে দিয়ে এসআই রহমানের বিরুদ্ধে সাজাই ঘুষ দাবির মিথ্যা গল্প কাহিনী।
এবং দুই অভিযোগকারী কে দালাল শ্রেণীর ঐ তৃতীয় পক্ষ নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে এসআই আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে করাই সংবাদ সম্মেলন।
যেখানে অভিযোগকারী দুইজনকে বলতে শোনা যায় তাদের কাছ থেকে এস আই রহমান অবৈধভাবে টাকা দাবী করেন।
এমন খবরে নড়ে চড়ে বসেন দৌলতপুর থানা পুলিশ ও ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহাসিন আল মুরাদ, ঘটনার সত্যতা বের করার লক্ষ্যে অভিযোগকারী ওই দুই মহিলাকে ডেকে নেন তার কার্যালয়ে, সেখানে স্থানীয়ভাবে তাদের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে।
সংবাদ সম্মেলনে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মঞ্জুয়ারা খাতুন দাবি করে এস আই রহমান তার কাছে অনৈতিকভাবে অর্থ দাবি করেন কিন্তু তারপরদিন আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় মঞ্জুয়ারা বলছেন আমার কাছ থেকে এসআই রহমান কোন টাকা পয়সা চাইনি তবে সংবাদ সম্মেলনের আগে এই কথাটা বলতে বলেছিল আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী, আদাবাড়ীয়া গ্রামের শাহারুল ইসলামের স্ত্রী নূর নহার খাতুন। আর তাই আমি সকল বিষয়ে মীমাংসার খাতিরে সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছি।
এ বিষয়ে এসআই আব্দুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সরকারি নিয়মের বাইরে আমরা কখনো কোন কিছুই করি না, অভিযোগের তদন্তভার যেহেতু আমার উপরে ছিল সে ক্ষেত্রে তারা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে নিয়েছিল কিন্তু আমাকে কিছুই জানিয়েছিলো না। তাই আমি বিষয়টি জানতে পারার পরে তাদের ভিতরে যে আপোষ মীমাংসা হয়ে গেছে তার একটি আপসনামা বা লিখিত মীমাংসা পত্র চেয়েছিলাম, যেটা আমি থানায় জমা দেবো বলে তাদেরকে বুঝিয়েছিলাম,কিন্তু, তারা সেটি আমাকে না দিয়ে স্থানীয় কিছু চক্রান্তকারীর মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট কথা বলে সংবাদ প্রকাশ করায়। যে সংবাদটির সাথে আদিও আমার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না।