ঢাকায় অবস্থিত বিআরবি গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিআরবি হসপিটাল প্রতারণার ফাঁদ খুলে বসেছে। ভূয়া বিল ভাউচার করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। রোগীরা হচ্ছে সর্বশান্ত। সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফেরা রোগীর সংখ্যাও খুব কম। রোগীর স্বজনরা বলছে, টেষ্ট বানিজ্য করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া নির্দিষ্ট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর দামী ঔষধের বাইরে ডাক্তাররা ঔষধ প্রেসক্রিপশন করেননা বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক রোগীর স্বজন। এদিকে এক নবজাতককে নিয়ে ব্যবসা করেছেন বিআরবি হসপিটাল। ৭ দিন বয়সী ওই নবজাতকের এখনও নাম পর্যন্ত রাখা হয়নি। গত ৭ আগষ্ট বিআরবি হসপিটালে পেডিয়াটিক ও নিওরোলজী কনসালটেন্ট ডাঃ নাজমুন নাহারের তত্ববধানে ফার্মগেট এলাকার ফারহানার ছেলেকে ভর্তি করা হয়। ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত ওই নবজাতককে সুস্থ্য করতে পারেনি ডাক্তার। শেষ পর্যন্ত তাকে ১৪ আগষ্ট হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকার একটি বিল। বিলে উল্লেখিত সেবার মধ্যে ১৪ আগষ্ট রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে একবার ৫১ মিনিটে ১ বার ও ৫৩ মিনিটে দুই বার রোগীকে দেখেছেন ডাক্তার নাজমুন নাহার। একই সময়ে তিন মিনিটের ব্যবধানে ৪ বার একই রোগীকে দেখে প্রতিবার ১২শ টাকা করে ৪ হাজার ৮ শ টাকা বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধরণের প্রতারণা প্রায় সকল রোগীর ক্ষেত্রে করে চলেছে বিআরবি হসপিটাল। এই বিষয় নিয়ে বিআরবি গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি ওই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বিল দেয়ার সময় পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছে এটিই তাদের নিয়ম। ভুক্তভোগী রোগীর অভিভাবক মনসুর আহমেদ প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।