কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের প্রবাসী স্বপন আল মামুনের অনুপস্থিতির সুযোগে তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী দল।
সন্ত্রাসী হামলায় স্বপন আল মামুনের স্ত্রী ইসমা খাতুন বাদী হয়ে বুধবার সন্ধার পরে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ১৭/০৭/২০২৪ তারিখ দুপুর ২.৩০ মিনিটের দিকে একই এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে সাহারুল ইসলাম, আব্বাস আলীর ছেলে, রাজন,সুজন, স্ত্রী হেলেনা খাতুন, সহ ফরিদা খাতুন, রাইজুদ্দিন,ও সজিব মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, লোহার রড, রামদা, হাসুয়া নিয়ে বেআইনিভাবে স্বপন আল মামুনের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে স্ত্রী ইসমা খাতুন স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সুবর্ণা খাতুন (১৩) ও বৃদ্ধা মা সাজেদা খাতুনের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।
এ বিষয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়া অভিযোগকারী ইসমা খাতুন বলেন,উল্লেখিত ব্যক্তিরা খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তুচ্ছ কথা কে কেন্দ্র করে আমার শাশুড়ির উপর তারা হামলা চালিয়ে মারধর করতে থাকলে আমি সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে তারা আমাকে আক্রমণ করে। সন্ত্রাসী রাইজুদ্দিনের হুকুমে হেলেনা খাতুন আমার সাদত আঙ্গুলে কামড় মারিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। সন্ত্রাসী সাহারুল ইসলাম লাঠি দিয়া আমার মাথার বাম পাশে আঘাত করে ফোলা কালশিরা জখম করে। তখন আমার শাশুড়ির সাজেদা খাতুন ও আমার মেয়ে সুবর্ণা খাতুন আমাকে রক্ষা করতে গেলে সন্ত্রাসী রাজন আমার মেয়ে সুবর্ণা খাতুনের চুলের মুঠি ধরে টানাহেচড়া করে কাপড় চোপড় খুলিয়া বিবস্ত্র করে শ্রীলতা হানি করে আমার মেয়ের বুকের উপরে স্বজোরে লাথি মেরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এমন অবস্থায় সুযোগ বুঝে সন্ত্রাসী সুজন আমার গলায় থাকা আট আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন যাহার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকা টেনে ছিড়ে নিয়ে নেয়।
এমন অবস্থায় আমি সহ আমার মেয়ে ও শাশুড়ি আত্মচিৎকার করতে থাকলে বাড়ির আশেপাশের লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আমাদের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এনে ভর্তি করে।
ডাক্তার আমাকে ও আমার শাশুড়িকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ দিলেও আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সুবর্ণা খাতুন অতিরিক্ত আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় হসপিটালে রেখেই অভিজ্ঞ ডাক্তাররা আমার মেয়ে সুবর্ণা খাতুন কে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন দৌলতপুর থানার ওসি সাহেবকে আমি অনুরোধ করে বলবো এমন নেককার জনক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক ।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব রহমান (মিনে)র সাথে কথা বললে তিনি জানান, মা মেয়ে ও শাশুড়িকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগটি আমি এখনো দেখিনি তবে অভিযোগটি দেখে তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি : প্রতীকী