“আমরা জাতি হিসেবে গর্বিত,হে পিতা তোমার রক্তে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত,আমরা ভুলি নাই ভুলবোনা আমৃত্যু,, বিশ্বাস ঘাতকতায় পরিপুর্ণ রক্তাক্ত ইতিহাসঃ স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের দ্রুত পদোন্নতি হতে থাকে।১৯৭২ সালে কর্ণেল,১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ব্রিগেডিয়ার।ঐ বছরের শেষের দিকে মেজর জেনারেল। মেজর জেনারেল(অবঃ)করিম তখন ঢাকায় লোক দেখানো ঠিকাদারি ব্যবসা করেন।মূলতঃকাজ ছিল ঢাকাস্হ মার্কিন দূতাবাসে সিআই এর মিঃ ফিলিপস্ চেরির সাথে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনাকারিদের যোগাযোগ স্হাপন করা।এই জেনারেল করিম ছিলেন পাক বাহিনীর সর্মথন কারি।খন্দকার মুশতাক তাকে বেছে নিলেন সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার কাজে।খন্দকার মোশতাক যখন অস্হায়ী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। কলাকাতার বাংলাদেশ মিশন অফিসটি ছিল তখন ষড়যন্ত্রকারীদের আড্ডা খানা।সেই আসরের মধ্যমনি মাহবুব আলম চাষীর সাথে আড্ডার নিয়মিত সদস্য ছিলেন জিয়া।কাজেই জেনারেল করিমকে খুব একটা বেগ পেতে হলনা যোগাযোগ স্হাপন করতে।কিন্তু সেনা উপ-প্রধান জিয়াউর রহমান নিজে আগ বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকান্ডে জড়িত হতে রাজি হলেন না। তবে তিনি বললেন,কোন সেনাবাহিনীর চক্র যদি এই হত্যাকান্ড ঘটায় তাহলে তিনি তাদের পিছনে দাড়াবেন এবং সমর্থন করবেন।(সংগৃহীত তথ্য) এ কথার সত্যতা মেলে মেজর ফারুকের সাক্ষাৎকারের বক্তব্যের সাথে।বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মেজর ফারুকও একই কথা বলেছেন। জিয়া এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সরকারকে অবহিত করে নাই। একজন উচ্চ পদস্হ সেনা কর্মকর্তা হিসাবে রাষ্ট্রীয় ভাবে তিনি তার পবিত্র শপথ বা ওথ রক্ষা করেন নাই।বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের সাংবিধানিক ধারা বজায় রাখতে সেনাপ্রধান শফিউল্লাহ উপরাষ্ট্রপতির বাসায় যেতে চাইলে জিয়া তাতে তাৎক্ষণিক সম্মতি প্রদান করে সেনাপ্রধানের সাথে সেনাপ্রধানের গাড়িতে উঠে বসে।যদিও জিয়ার গাড়ি সেখানে প্রস্তুত ছিল।পথিমধ্যে জিয়া ড্রাইভারকে গাড়ি রেডিও ষ্টেশনে নিয়ে যেতে বলে।রেডিও ষ্টেশনে আগে থেকে আনা নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানের সাথে সেনা প্রধানকে দিয়ে জোর করে মোশতাকের প্রতি আনুগত্য ও সমর্থনের লিখিত ঘোষনা পাঠ করান। তারপরেও আমরা কি বলব? জিয়া রাষ্ট্রীয় বিশ্বাস ঘাতক ছিল না।জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারি ছিল না?? #বাঙালির শোকের মাস আগস্ট। এ মাসেই জাতির ইতিহাসের কলঙ্কিত এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু,বিশ্বাস ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধা জানাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ উনার পরিবারের নিহত সকলের প্রতি।