কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেউরিয়ার
রাজু গং এর প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগ সূত্রে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯ মার্চ ঝুমা জুয়েলার্সে স্বর্ণ ব্যবসায়ী একরামুল কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেউরিয়ার প্রমানিক পাড়ার মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে রাজু আহমেদ ও তার পরিবারের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হন ৷ ব্যবসায়ী একরামুল জানান,” পরিকল্পিতভাবে রাজু গং আমার টাকা লুটপাট করেছে। গত সাত-আট মাস আগে ঝুমা জুয়েলারিতে ১২ আনা ওজনের গলার হার বন্ধক রাখেন রাজু । ১৯ মার্চের মধ্যে বন্ধকী গহনাটি মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পর দোকানদারের পাওনা টাকা ১৯ মার্চের মধ্যে পরিশোধ না করলে গহনাটি মার্কেটে বিক্রি করে দিবেন ঝুমা জুয়েলার্স। গহনাটি ছাড়ানোর জন্য রাজু আহমেদ ও তার পরিবার আমার কাছে আকুতি মিনতি করেন এবং বলেন ঝুমা জুয়েলার্সের পাওনা ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে বন্ধকী গহনাটি ছাড়িয়ে আপনার কাছে রাখতে চাই । এক পর্যায়ে তাদের প্রস্তাবে রাজি হয় । রাজু ও রাজুর পরিবারসহ দোকানে উপস্থিত হয়ে আমার কাছ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ঝুমা জুয়েলার্সে থেকে গহনাটি ছাড়িয়ে নেওয়ার পর গহনা আমাকে ফেরত না দিয়ে পালিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থল থেকে রাজু ও তার পরিবার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়,। ২০ মার্চ কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দেয়ার পরেও আইনি কোনো সহায়তায় টাকা ফেরত পায়নি।
ঝুমা জুয়েলার্সের মালিক দিলিপ বাবুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ভাবে প্রতারণা করবে এটা আমার জানা ছিল না। আমার কাছে দীর্ঘ সাত-আট মাস আগে স্বর্ণ বন্ধক
দিয়ে টাকা নিয়ে যায়। টাকা চাইলে নানা ধরনের তালবাহানা করে। আমার বাচ্চাটা অসুস্থ, আমার খুব টাকার প্রয়োজন। তাই আমি তাকে বলেছিলাম গহনাটি নিয়ে যান, আমার টাকা ফেরত দিয়ে যান। তবে তারা যেভাবে প্রতারণা করেছে তা খুবই দুঃখজনক। আইনত ভাবে দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক যাতে আগামীতে কেউ এভাবে প্রতারণা করার দুঃসাহস না দেখাই। কারণ এটা আমাদের মত ব্যবসায়ীদের জন্য আতঙ্ক।
এই অভিযোগের তদন্ত অফিসার এস আই রফিকুল তিনি জানান,আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। থানায় মামলা এন্টি না হলে আমরা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনা।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে । রাজু ও তার পরিবার যেভাবে প্রতারণা করেছে তা খুবই দুঃখজনক এমন ঘটনা চলতে থাকলে আগামীতে আরো প্রতারণা করার সুযোগ পেয়ে যাবে।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, তুহিন নামের এক ব্যক্তি প্রতারক চক্রের মূল হোতা রাজুর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। গহনা ও টাকা কিছুই ফেরত দেওয়া লাগবে না । থানা পুলিশ সব তার পকেটে। সব কিছু সে ঠিক করে দিবে। সূত্রটি আরো জানায়, তুহিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বহু অপকর্মের সহায়ক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ীর
বলেন, ২০ মার্চ কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর গতকাল রাজু গং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। আইনি সহায়তার জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি এজাহার জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক যাতে আগামীতে কেউ এরকম প্রতারণা করার দুঃসাহস না দেখাই। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।