মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল দুপুরে জেলার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রায় ঘোষণা শেষে আসামি মাহমুদ আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রকৌশলী মাহমুদ আলম কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ার ছয় রাস্তার মোড় এলাকার মৃত আব্দুল বারীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোর ডিভিশনের আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে বিভিন্ন সংস্কার কাজ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এম কামাল এন্টারপ্রাইজসহ আরও ১০টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায় এবং তাদের পক্ষে একজন ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম কাজ করেন। ১১টি প্যাকেজের কন্সট্রাকশন কাজের ৪৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকার সরকারি কাজ সম্পন্ন করা হয়।
প্রকৌশলী মাহমুদ আলম সেই কাজের ৬টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য দরখাস্ত করার সময় ঠিকাদার খাইরুল ইসলামের কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরবর্তীতে সেই টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিলে অভিযোগকারীকে ৬টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরত দেওয়ার জন্য দরখাস্তে মেমো নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৭ জুলাই দুনীতি দমন কমিশনের(দুদক) প্রধান কার্যালয় ঢাকার অনুমোদনক্রমে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এই সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম।
এরপর দুনীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বে ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট একটি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করা হয় এবং ঠিকাদার খাইরুল ইসলামের মাধ্যমে ওইদিন সকালে ৫০ হাজার টাকা সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমকে প্রদান করলে দুদক হাতেনাতে টাকাসহ মাহমুদ আলমকে গ্রেপ্তার করে।