একই সঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী।
তিনি জানান, ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট সকালে গণপূর্ত অফিসের প্রাচীরের সঙ্গে একটি চটের ব্যাগের মধ্য স্থানীয় শামসুজ্জোহা, কাইয়ুম ও আইয়ুবের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়। পরদিন সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে পাওয়া যায় তাদের দেহ। এঘটনায় নিহত একজনের ছোট ভাই আব্দুল হাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে ২২ জনের নামে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এলজিইডির ১৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাদের হত্যা করা হয়। যাদেরকে খুন করা হয়েছে এবং আসামিরা জাসদ গণবাহিনীর দু’টি দলের সদস্য। আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া তিন আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার(১০ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এই রায় দেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পলুতা ভাঙ্গা গ্রামের আসকর সরদারের ছেলে ফারুক সরদার, পশ্চিম আবদালপুর গ্রামের ইসারত আলী রেজার ছেলে কালু ও কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মজনুর ছেলে রোহান।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ঝিনাইদহর হরিনাকুন্ডুর বাহাদুরপুর এলাকার মৃত খোরশেদ মন্ডলের ছেলে ফারুক মন্ডল, একই উপজেলার ভায়না গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আলতাফ মেম্বার, জলিল শেখের ছেলে লিয়াকত, এছেম শেখের ছেলে মনোয়ার হোসেন, করিমপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে জমির উদ্দিন, আনসার শেখের ছেলে আকাউদ্দিন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খোর্দবাখাইল গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নুরুল এবং মাঝপাড়া এলাকার মৃত ওম্মাদ মন্ডলের ছেলে খাকচার মন্ডল।